You must need to login..!
Description
স্টাফ রির্পোটার,বিএমটিভি নিউজঃ মেয়ের চোখ লাল হয়ে জ্বালা যন্ত্রণা, বিষবেদনা ছিল। তাই স্থানীয়ভাবে ওষুধের দোকান থেকে ড্রপ কিনে তা ব্যবহার করি। তাতে সেরে না উঠায় করিবাজের শরানাপন্ন হয়। কিন্তু…এটুকু বলেই ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করেন। অনেকক্ষণ সময় নিয়ে কান্না সামলে খুকি আক্তার বলেন, আমার মেয়ের বাম চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। সেটি এক বছর আগের কথা। এখন ডান চোখটিও নষ্ট হওয়ার পথে। ডান চোখটিও বাঁচাতে দ্রুত করতে হবে অস্ত্রোপচার। সেজন্য লাগবে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু মেয়ের বাবা রিকশা চালিয়ে আমাদের ৬ সদস্যের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। সেখানে মেয়ের অস্ত্রোপচারের এতো টাকা কোথায় পাবো। কবিরাজী ওষূধ চোখে লাগানোর পরেই বাম চোখটি নষ্ট হয়ে যায়।
চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া শিশুটির নাম নীলা। সে ভারইল গন্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও গন্ডগ্রাম গ্রামের দরিদ্র রিকশা চালক সূরুজ মিয়ার মেয়ে।
নীলার মা খুকি আক্তার জানান, মেয়ের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর আইকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান বাম চোখ নষ্ট হওয়ার পর এখন ডান চোখের কর্নিয়াও নষ্ট হওয়ার পথে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে ডান চোখটিও নষ্ট হয়ে যাবে। এখন মেয়ের ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। মেয়ের চিকিৎসায় বাবা রিকশা চালক সূরুজ মিয়া ও মা খুকি আক্তার সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমার মেয়েটার সারাটা জীবন সামনে পড়ে রয়েছে।
মেয়েটা বারবার জানতে চায়, তার চোখটাকি ভালো হবেনা। তখন বুক ফেটে কান্না আসে। অথচ মেয়েটাকে বলতে পারছি না টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ।
সোমবার (১৭ জানুয়ারী) গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা এমরান আকন্দ ও মোস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু শিশু শিক্ষার্থী নীলাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তখন তারা নীলা চিকিৎসায় সম্মিলিত সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছেন বলে জানান নীলার মা খুকি আক্তার।
গফরগাঁও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালমা আক্তার বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খ জনক। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মেয়েটিকে নিয়ে আসতে বলবো। পাশাপাশি মেয়েটির চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করার পাশাপশি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের জানিয়ে দেয়া হবে যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাহায্য করতে।