ফুলবাড়ীয়ায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে দাখিল মাদ্রাাসার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

ফুলবাড়ীয়ায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে দাখিল মাদ্রাাসার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

BMTV Desk No Comments

এনায়েতুর রহমান,ফুলবাড়ীয়া থেকেঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সারুটিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগে অনিয়মসহ নানা অভিযোগে এলাকাবাসীর তোপের মুখে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বোর্ড। গতকাল শনিবার সকালে সুপার, সহ-সুপার, আয়া ও নৈশ্য প্রহরী পদে লিখিত পরীক্ষা নিতে গেলে পরীক্ষা বঞ্চিত প্রার্থীদের স্বজন ও স্থানীয়রা এই প্রতিবাদ করে।
জানা যায়, উপজেলার সারুটিয়া দাখিল মাদ্রাাসায় শুন্যপদে সুপার ও সহ সুপার এবং নবসৃষ্ট পদে আয়া ও নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর মাদ্রাাসার দাতা সদস্য মফিজ উদ্দিন মন্ডল প্রকাশিত নিয়োগে ৩৭ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে একটি লিখিত আবেদন করেন জেলা প্রশাসক বরাবর। শনিবার উক্ত পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের সারুটিয়া দাখিল মাদ্রাাসায় ডাকা হলেও স্থানীয় আবেদনকারী নৈশ্য প্রহরী পদে মো. ওবায়দুল্লাহ বাসার ও আয়া পদে রুনা আক্তার কে ডাকা হয়নি। সকালে তাদের স্বজনরা জানতে পারেন উক্ত মাদ্রাাসায় নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। স্বজন ও এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে অবশেষে পরীক্ষা স্থগিত করে চলে আসে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের টুকরা ও নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের পত্রের টুকরা মাদ্রাসা মাঠে বিচ্ছিন্নভাবে পড়ে আছে। মাদ্রাাসা মাঠে দেখা হয় নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য রফিকুল ইসলাম ও তারা মিয়ার সাথে। তারা জানান, নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিষয় আমরা জানি না। নিয়োগ কমিটি কবে কখন গঠন হয়েছে সে বিষয়ে তারা অবগত নয়। ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি তারা না জানলেও নীরবে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনায় চরমভাবে হতাশ। নৈশ্য প্রহরী পদে আবেদনকারীর বাড়ি মাদ্রাসা ঘেঁষে। মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণে তার বাবা রফিকুল ইসলাম ওরফে রফি ক্বারীর অবদান অনেক। বিচার বিশ্লেষণ করলে মো. ওবায়দুল্লাহ বাসার সেই চাকুরীটা পাওয়ার যোগ্য। অথচ তাকে পরীক্ষার জন্য ডাকা ই হয়নি।
নৈশ্য প্রহরী পদে প্রার্থী মো. ওবায়দুল্লাহ বাসার বলেন, আমি নিয়োগের বিষয়টি জানিনা, বিধি মোতাবেক সকল শর্ত পূরণ করে আবেদন করেছি। আমি একজন বৈধ প্রার্থী বলে আমি মনে করি। যেহেতু আমি ডাক পাইনি, সেহেতু আমি মনে করি এখানে অনিয়ম হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
আয়া পদে প্রার্থী রুনা আক্তার বলেন, আমি জানি না স্বজনদের কাছে শুনতে পাইলাম নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। এখানে ঘুষ বাণিজ্য ও চরম অনিয়ম হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার নুরুল ইসলাম আকন্দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনে লাইনটি কেটে দেন।
মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল ব্যক্তিগতভাবে লাভবানের জন্য পায়তারা করছে। তারা পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীতে আমরা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নির্দেশে পরীক্ষা স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে আবারও পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।