সুমাইয়াকে নিয়ে আনন্দে ভাসছে গোটা ময়মনসিংহবাসী

image

You must need to login..!

Description

উবায়দুল হক, ময়মনসিংহ    শুধু মাহমুদুল্লাহ কিংবা মোসাদ্দেকরাই নয়, ক্রীড়াঙ্গনে ময়মনসিংহের নাম উজ্জ্বল করেছেন সানজিদা, সাবিনা, মারিয়ারাও। একেকজন হয়ে উঠেছেন জ্বলজ্বলে তারকা। সেই তারকাদের নামের পাশে যুক্ত হচ্ছে নতুন আরেকটি নাম। তিনি নারীদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অন্যতম সদস্য সুমাইয়া আক্তার। যিনি দীর্ঘ বাধা পেরিয়ে পৌঁছেছেন বিশ্বমঞ্চে। তাকে নিয়ে এখন গর্বে-আনন্দে ভাসছেন গোটা ময়মনসিংহবাসী।

তবে উদীয়মান এ নারী ক্রিকেটারের পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। একসময় খেলাধুলা নিয়ে সুমাইয়ার পরিবারকে শুনতে হয়েছে প্রতিবেশীদের নানা কটুকথা। সেইসব সহ্য করতে না পেরে খেলতে যেতে নিষেধও করেছিলেন মা-দাদা। কিন্তু কোনোকিছুরই তোয়াক্কা করেননি বাবা সাইফুল ইসলাম। চালিয়ে গেছেন মেয়ের অনুশীলন। একপর্যায়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে নারী ক্রিকেটার বাছাইয়ে সুমাইয়া দৃষ্টি কাড়েন বিকেএসপির। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। গতকাল বুধবার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি জয়ের মাধ্যমে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার সিক্সে উঠেছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যখন খেলা চলছিলো তখন ময়মনসিংহের কাচারিঘাটের একটি চায়ের দোকানে বসেই কিছুক্ষণ পরপর অনলাইনে মেয়ের খেলার স্কোর দেখছিলেন সুমাইয়ার বাবা স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই চলে সুমাইয়াকে নিয়ে গল্প। জানান সুমাইয়ার ক্রিকেটার হওয়ার পেছনের আদ্যোপান্ত।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি জোঁক ছিল সুমাইয়ার। বাড়ির আশপাশে খালি জমিতে ছেলেদের ক্রিকেট দেখলেই সেখানে ছুটে যেত সে। বসে থেকে দেখতো খেলা। মাঝেমধ্যে নিজের কাছে বল চলে এলে তা কুড়িয়ে এগিয়ে দিত। এমনকি কখনো কখনো নিজেও খেলতে চাইতো। ক্রিকেট নিয়ে সুমাইয়ার এমন আগ্রহ খেয়াল করে তার চাচা রাজা আলী। তাকে ক্রিকেট ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় আমাকে।

২০১৩ সালে সুমাইয়া কাচারিঘাট এলাকার মহিলা সমিতি উদয়ন বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় তাকে নিউ জেনারেশন ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি করা হয়। প্রতিদিন নৌকা দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে স্কুলে এবং স্কুল শেষে ক্রিকেট কোচিংয়ে যেতো। কোনোদিন স্কুল এবং ক্রিকেট কোচিং বন্ধ করেনি সুমাইয়া।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার