সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ২য় নামাজে জানাজা সম্পন্ন

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ  সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ২য় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ। জানাজা শেষে নিজ এলাকা দোহারে যাচ্ছে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার লাশবাহী এম্বুলেন্স। এর আগে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রথম নামাজে জানাজা ১১ টায় ধানমন্ডির বাইতুল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রাত ১০টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেন।

নাজমুল হুদার একান্ত সচিব আক্কাস খান জানান রাতেই স্যারের লাশ ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হয়। আজ সকাল ১১টায় ধানমন্ডির বায়তুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ নেয়া হয় দোহারে। সেখানে জয়পাড়া স্কুল মাঠে বাদ জোহর তৃতীয় এবং বাদ আসর পদ্মা কলেজ মাঠে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে পারিবারিক কবরস্থানে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে সমাহিত করা হবে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা এবং দুই কন্যা অন্তরা হুদা সামিলা ও শ্রাবন্তী হুদা আমিনাকে রেখে গেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৬ই জানুয়ারি। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে পরপর ৩ বার ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি ছিলেন দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
২০১০ সালে তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। তখন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বহিষ্কৃত হলেও ব্যারিস্টার হুদা বিএনপির দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যান। ২০১১ সালের ৫ই এপ্রিল তার সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হয়। যদিও ২০১২ সালে ৬ই জুন নাজমুল হুদা নিজেই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

ওই বছরের ১০ই আগস্ট আবুল কালাম আজাদকে সমন্বয়ক করে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ)। ২০১৪ সালের ৭ই মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি নতুন জোট গঠন করেন। একই বছরের ২১শে নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে নতুন দল গঠন করেন। ২০১৫ সালে নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। আদালতের নির্দেশে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়।