You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ,
ময়মনসিংহে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নির্যাতনে আনোয়ার হোসেন আরমান (১৯) নামে তরুণের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রভাত ফেরী মাদকাসক্ত ও মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো. রাজিবুল আলম রনিকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃত আনোয়ার হোসেন আরমান জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের তরফপাছাইল গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে।মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নগরীর মাসকান্দা বলাশপুর নয়াপাড়া এলাকার প্রভাত ফেরী মাদকাসক্ত ও মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।স্বজনরা জানান, আরমান মাদকাসক্ত ছিলেন। কয়েক মাস ধরে তিনি মাত্রাতিরিক্ত অত্যাচার শুরু করেন। মাদকের টাকার জন্য চাপ দিতেন। মাদক সেবন করে উশৃঙ্খল আচরণ করতেন। এ অবস্থায় সোমবার (৬ মার্চ) আরমানকে রিহ্যাবে পাঠানোর চিন্তা করেন তার বাবা। পরে ওইদিন বিকেলে প্রভাত ফেরী মাদকাসক্ত ও মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে পাঁচজন অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আরমানকে নিতে আসেন। তিনি রিহ্যাবে আসতে না চাইলে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে আনা হয়। পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসার পর মধ্যরাতে আরমান বমি করেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এসময় রিহ্যাব সেন্টার থেকে পরিবারের সদস্যদের মোবাইলফোনে জানানো হয় আরমান মারা গেছেন।
নিহতের বাবা আবদুল আউয়াল বলেন, ছেলেকে সুস্থ করার জন্য চিকিৎসা করতে পাঠিয়েছি। কিন্তু সকালে একবার জানানো হয় আরমান ভালো আছে। এর কিছুক্ষণ পর আবারও ফোন করে বলে আরমান হয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। পরে খবর পেয়ে ছেলের কাছে গিয়ে দেখতে পারি, শরীরজুড়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। নির্যাতন ও ওষুধ প্রয়োগে মৃত্যু হলে আমরা কঠোর বিচার চাই।
ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খোরশিদ আলম বলেন, রোগীকে বেঁধে আনার কোনো নিয়ম নেই। রোগীকে আনার পর কোনো ডাক্তার দেখানো হয়নি। রাতের বেলায় রোগী বমি করলেও হাসপাতালে নেওয়া কিংবা ডাক্তার দেখায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। সুত্র জাগো নিউজ