দুইকর্মী ছাত্রলীগ নেতার পা টিপে দেয়ার ছবি এখন ভাইরাল

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
খাটে শুয়ে মোবাইল টিপছেন ছাত্রলীগ নেতা, আর তার পা টিপে দিচ্ছেন দুই কর্মী। এমনই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই যুবকের কোলে পা তুলে দিয়ে মোবাইল স্ক্রল করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। যে দুই যুবককে পা টিপতে দেখা যাচ্ছে তারা চবি ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।
জানা গেছে, চবির শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষের ছবি এটি। রুমটির দরজায় বড় করে লেখা আছে- ‘রেজাউল হক রুবেল, সভাপতি, চবি ছাত্রলীগ’। এমন দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী।
এদিকে ছবিটির ব্যাপারে মুখ খুলেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি, এর বাইরে আমি একজন সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থী। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা থাকি আমাদের বাবা মা, আমাদের সঙ্গে থাকে না। এইখানে আমরা একে অন্যের পরিবার হিসাবে পাশে থাকি, কেউ যখন অসুস্থ হয়, তখন আমরাই একে অন্যকে সেবা যত্ন করি।”
ভাইরাল ছবির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, “এক দুই কিংবা আড়াই বছর আগে, আমি খুব অসুস্থ হলে এবং আমার শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায় এবং আমার পা দুটি ফুলে যায়। শুধুই মানবিক দিক বিবেচনায় আমার ছোট ভাইরা, আমার সেবা যত্ন করে।যেটা আমার পরিবার থাকলেও করতো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেউ একজন এই ছবি তুলে আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য ফেসবুকে ছাড়ে। অসুস্থ মানুষের সেবা করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী একে অন্যের সেবা করে, কারণ আমাদের এইখানে পরিবার থাকে না। আমি ছাত্রলীগের সভাপতি বলেই, এই সাধারণ বিষয়টাকে বাজেভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া ছবিতে অপর যে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে দেখা গেছে তারা হলেন- চবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ ও অন্যজন উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেজাউল হক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন প্রায় ১৭ বছর আগে, ২০০৬-৭ শিক্ষাবর্ষে। তিনি স্নাতক পাস করেন ২০১০ সালে। স্নাতকোত্তর পাস করেছেন ২০১৩ সালে। রেজাউল হক ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পান ২০১৯ সালে ১৪ জুলাই। সভাপতির মেয়াদ এক বছর হলেও তিনি এখনো এই পদে রয়ে গেছেন। তাঁর শিক্ষাবর্ষের অন্য শিক্ষার্থীরা অন্তত ৯ বছর আগে স্নাতকোত্তর শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন। তাদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্যও তার চেয়ে বয়সে ছোট।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার