You must need to login..!
Description
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা ঃ গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গত কয়েক দিনের ভয়াবহ সর্বনাশা গরমের ফলে জনসাধারণেন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গরমের ফলে জনসাধারণ দিনের বেলায় ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না। আর ২/৩দিন পরেই হবে যাচ্ছে ঈদুল ফিতর। প্রচন্ড গরমে ঈদের বাজারে কিছুটা ভাটা পড়েছে। অন্য দিকে গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা সদরসহ আবহমান গ্রামবাংলার নজিরবিহীন লোড শেডিং চলছে। উপজেলা সদরে তেমন একটা লোড শেডিং নেই যা সদরের বাইরে থেকে তুলনামুলক কম। আবহমান গ্রাম বাংলার পল্লী বিদ্যুৎ ২৪ঘন্টার মধ্যে একটানা ৪ঘন্টা ও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। প্রায় ২০ঘন্টা গ্রামের জনসাধারণ অন্ধকারে নিমিজ্জিত থাকতে হচ্ছে। ৪ঘন্টা একটানা বিদ্যুৎ থাকেনা বলে গ্রাহক সুত্রে জানা গেছে। এতে রমজানের তারাবীহ ও রোজার মাসের রান্নায় সমস্যা পোহাতে হচ্ছে । এদিকে বিদ্যুৎ না থাকার ও তীব্র খরার ফলে বোরো ফসল ও হরেক রকমের শাকসবজির গাছ মরে যাচ্ছে পানির অভাবে। বিদ্যৎ না থাকায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে । ভয়াবহ খরার ফলে বাজারে চার্জার ফ্যান বিক্রির ধুম পড়েছে । গফরগাঁও উপজেলার ৯নং পাঁচবাগ ইউনিয়নের উত্তর হারিনা গ্রামের গৃহিনী মিসেস সাবিহা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ ২৪ঘন্টার মধ্যে ৪ঘন্টা একটানা থাকে না। এতে করে গরমের জন্য শিশু বাচ্চা ও বয়স্কদের নানান ধরনের রোগের সমস্যা দেখা দিয়েছে।বিদ্যৎ না রাতের বেলা ঘুমানো যাচ্ছে না । সর্বনাশা ভয়াবহ লোডশেডিং থাকার কারনে ঈদের বাজারে দোকানদার ও ক্রেতাদেরও সমস্যা হচ্ছে । গফরগাঁও পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, প্রচন্ড গরমের কারনে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভাল ভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারি। চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের পল্লী বিদ্যতের গ্রাহক মোঃ মুর্শিদ মিয়া জানান, ভাইয়ে রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে । সবচেয়ে ভাল বিষয় হচ্ছে যে, বিদ্যুতের লাইন চলে যায় সুখবর। তবে পল্লীবিদ্যুৎ কখন আসবে তা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাড়িছে। বিশেষ করে ৩নং চরআলগী ইউনিয়ন হচ্ছে সবজির ইউনিয়ন। খরার ফলে আমনসহ নানান ধরনের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি । কোন কোন গ্রামে আগাম আমন ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে । সর্বনাশা গরমের ফলে শ্রমিকরা ধান কাটতে পারছে না । অনেকেই আবার দেরি আমন ফসল রোপনের ফলে ডিজেলের মাধ্যমে সেচ দিয়ে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে । এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ কৃষকের জীবিকা নির্বাহের প্রধান কাজ সবজি চাষ, যা করে তারা তাদের সংসার পাল্টে দিয়েছে। দোকানদার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, লোডশেডিংয়ের ফলে বিশেষ করে আবহমান গ্রাম বাংলার ব্যবসায়ীরা চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বছরের ১২মাসের মধ্যে একমাস রোজার ঈদকে কেন্দ্র আর্থিক ভাবে লাভ হয়ে থাকে। কিন্তু লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যবসা মন্দা ।