সৌদির সাথে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ 
সৌদি আরব ও মধ্য প্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ।সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে।আজ সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী বলেন, চাঁদ একটাই। এজন্য শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ পালন করা হয়।বর্তমানে জেলার ৫টি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ তাদের রীতি অনুসরণ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

শেরপুরের ৯টি গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। আজ সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে পৃথক স্থানে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এসব জামায়াতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও ঈদের নামাজ আদায় করেন।শেরপুর সদরের উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, মুন্সীরচর, বামনারচর, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া ও চিনামারা, নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দীসহ ৯টি স্থানে পৃথকভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামাতে দেড় থেকে দু’শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।

মুসল্লিরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর পালন করে আসছেন।সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক মুসল্লি।

ঈদ জামাতের আয়োজকরা জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন। এখানে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা, হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে মুসল্লীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।

ঈদ জামাত কমিটির সভাপতি মো. বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ওআইসিসহ সকল মুসলিম উম্মা আজকে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। সে কারণে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি।আমরা রাসুলের সুন্নাহ অনুসরণ করে চলি। রাসুল (সা.) যেভাবে চলতে বলেছেন আমরা সেইভাবে চলি।
একইভাবে ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার একদিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া জানান, ভোলা জেলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার শুক্রবার ঈদুল ফিতর পালন করছেন।

এছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অন্যতম।

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন।##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার