You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবন ছাড়ার পর এখন নিকুঞ্জের নতুন ঠিকানায়। বঙ্গভবন থেকে রাজসিক সংবর্ধনার পর রাজধানীর নিকুঞ্জের ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ দিন কাটছে তার। বাকি জীবন সেখানেই কাটাবেন।
সোমবার বঙ্গভবন ছেড়ে নিকুঞ্জের বাসায় ওঠার পর থেকে তিনি এক প্রকার বিশ্রামেই আছেন। বাসার ভেতর থেকে বের হননি। সেখানে পারিবারিক আবহে সময় কাটছে আবদুল হামিদের। বাসার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে লেক। বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে সেই স্বচ্ছ লেকের পানিতে কিছু সময় চোখ বুলান তিনি। এরপর আবারও ফিরে যান ঘরে।আবদুল হামিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য জানান, তিনি (আবদুল হামিদ) শুধু বারান্দায় আসেন। কোথাও যান না। রান্নার কাজ বাড়ির ভেতরে হয়। উনার বোন শুধু খাবার নিয়ে এসেছিলেন। প্রতিদিন সকালে নানা পদের বাজার হয়। প্রথম দিন স্থানীয় বাসিন্দারা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেছেন।বুধবার (২৬ এপ্রিল) সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, প্রথম দিন বাসার ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসেছিলেন। সেখান থেকে লেকের স্বচ্ছ পানি দেখেন। তার নিরাপত্তার জন্য বাসার বিপরীত দিকে পুলিশের অস্থায়ী চৌকি তৈরি হয়েছে। প্রথম দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) সারাদিন বের হননি। বুধবার দুই থেকে তিন মিনিট বারান্দায় অবস্থান করেন। এলাকার মানুষও তেমন আসে না। মাঝে মাঝে বোন এসে ভাইকে নিজের হাতের রান্না খাওয়ান।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা শিফট অনুযায়ী ডিউটি করেন। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা, আবার রাত আটটা থেকে সকাল ৭টা। বাসার চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো।১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর কাজ শেষে তৈরি হয় তিনতলা বাড়ি। শেষ জীবন সেখানেই কাটাবেন আবদুল হামিদ।
অবসরে তিনি কী কী সুবিধা পাবেন-
টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালন করে সোমবার (২৪ এপ্রিল) অবসরে গেছেন মো. আবদুল হামিদ। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক রাজনীতিতে আর সক্রিয় হবেন না। অবসরে লেখালেখির পাশাপাশি ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও হাওরে সময় কাটাবেন বলে জানিয়েছেন।‘দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট, ১৯৭৫ (মে ২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত)’ আইনে সাবেক রাষ্ট্রপতির সব সুবিধার বিষয়ে উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে কমপক্ষে ছয়মাস দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করলে অথবা মেয়াদ শেষ হলে মৃত্যুর আগপর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বশেষ যে মাসিক বেতন পেতেন, তার ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা পাবেন। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এ হিসাবে অবসরের পর মো. আবদুল হামিদ মাসে ৯০ হাজার টাকা অবসর ভাতা পাবেন।
অবসরে তিনি কী কী সুবিধা পাবেন- এ নিয়ে অনেকের আগ্রহ আছে। আইনে কী কী সুবিধা দেওয়া আছে অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকে, তা নিয়ে তুলে ধরা হলো-দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট, ১৯৭৫ (মে ২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত)’ আইনে সাবেক রাষ্ট্রপতির সব সুবিধার বিষয়ে উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে কমপক্ষে ছয়মাস দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করলে অথবা মেয়াদ শেষ হলে মৃত্যুর আগপর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সর্বশেষ যে মাসিক বেতন পেতেন, তার ৭৫ শতাংশ হারে মাসিক অবসর ভাতা পাবেন। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এ হিসাবে অবসরের পর মো. আবদুল হামিদ মাসে ৯০ হাজার টাকা অবসর ভাতা পাবেন।আইনে উল্লেখ আছে যে, কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার আগে অন্য কোনো চাকরি বা পদ থেকে অবসরে গিয়ে অবসর ভাতা গ্রহণ করলে তিনি ওই অবসর ভাতা ও রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতার মধ্যে তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোনো একটি পাওয়ার যোগ্য হবেন। রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতা গ্রহণ করে মারা গেলে তার স্ত্রী অথবা ক্ষেত্রমতে বিপত্নীক স্বামী তার প্রাপ্য অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ হারে আমৃত্যু মাসিক ভাতা পাবেন।এছাড়া অবসর ভাতা গ্রহণের প্রাধিকার অর্জন করা সাবেক কোনো রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতার পরিবর্তে আনুতোষিকও (এককালীন অর্থ) গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য তাকে প্রাধিকার অর্জনের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে অবসর ভাতার পরিবর্তে আনুতোষিক গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানাতে হবে।