স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর বাড়েরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি রায়হান হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ রুমান (২১)কে ময়মনসিংহ শহরের বাড়েরা মসজিদ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ ।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, ভিকটিম আরমান আলী ও আসামীগণ পরস্পর আত্মীয়- স্বজন ও ভাগিশরিক। আনুমান ২০১২ সালের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামী মোঃ রুমান এর বড় ভাই আলমগীর হোসেন (২৭) খুন হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে মরাকুড়ি বাজারে দরবার বসে ও একপর্যায়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ জুন, ২০১৪ সালে দুপুর ২টায় আসামী রুমান ও তার লোকজন ভিকটিম আরমান আলী (২৮) কে মসজিদ মার্কেটের সামনে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আশেপাশের লোকজন ভিকটিম আরমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে, ভিকটিম আরমান (২৮) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিন রাত ১০টায় মারা যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ পপি আক্তার (২৪) বাদী হয়ে আসামী রুমান’সহ আরো ১১ জনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী মোঃ রুমান (২১) গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে।
আলোচিত এই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় ময়মনসিংহ সদরের বাড়েরা মসজিদ মার্কেট থেকে আসামী মোঃ রুমান (২১), পিতা- মোঃ সাইফুল ইসলাম ড্রাইভার, গ্রাম- মধ্য বাড়েরা, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।