ফুলবাড়ীয়ায় নগদের ভুলে ৪০ দিন প্রকল্পের শ্রমিকের সিমে প্রায় ১৯ কোটি টাকা!

image

You must need to login..!

Description

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া থেকে :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচী (৪০ দিন) প্রকল্পে প্রতি শ্রমিক ১৪ হাজার ৪শ টাকা পাওয়া কথা ধাকলেও নগদ তাদের প্রতি সিমে নগদ প্রেরন করেছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা! এ নিয়ে পুরো উপজেলায় হুলস্থুল পড়ে যায়। অনেকে আবার এ টাকা উত্তোলনও করে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (২৬ জুন) অতিরিক্ত টাকা খরচ না করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম।
উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ দিনের প্রায় ১৫শ ৩ জন জন রয়েছে। রোববার রাতে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং ভুল করে প্রতি শ্রমিকের মোবাইল সিমে ১লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রেরন করে। প্রতি শ্রমিক ৩৬ দিনের কাজের হিসাবে ১৪ হাজার ৪শ করে টাকা পাওয়া কথা ছিল। একটি শূন্য বেশি দিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রেরন করে নগদ। এতে প্রায় ১৯ কোটি টাকা বেশি প্রেরন করেছে নগদ।
সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নগদের এজেন্টের দোকান থেকে টাকা উত্তোলন করতে হুলস্থুল পড়ে যায়। এর মধ্যে অনেকেই টাকা উত্তোলন করেছেন বলে জানা গেছে।
রাঙামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম মুক্তা চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়ন থেকে কয়েক জন শ্রমিক অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করেছেন। স্ব স্ব ওয়ার্ডের মেম্বারদের বলে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ার জন্য।
কালাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়রন ১শ ৬ জন ৪০ দিনের কর্মসূচীর শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে কিছু শ্রমিক টাকা উত্তোলন করেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ না করতে আমাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলায় ১৫শ ৩ জন ৪০ দিনের শ্রমিক রয়েছে। ৩৬ দিনের কাজের হিসাবে জনপ্রতি মোবাইল সিমে ১৪ হাজার ৪শ টাকা দেয়ার কথা ছিল। নগদ ভূল করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রেরন করে।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম জানান, আমরা খবর পেয়ে চেয়ারম্যানদের চিঠি দিয়েছি। কোন শ্রমিক যেন তার হিসাবের অতিরিক্ত টাকা খরচ না করেন। ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৭ টি ইউনিয়নে শ্রমিকদের সিমে অতিরিক্ত টাকা আসার খবর পেয়েছি। ##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার