
You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহ নগরীর বড়কালিবাড়ী আবাসিক এলাকা স্থাপিত রাজিব বেকারীর ধোঁয়ায় পরিবেশ দুষণের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরে বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা। ২০২১ সালে ৮ নভেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১ডিসেম্বর’২১ পরিবেশ অধিদপ্তরে শুনানী শেষে ৩ মাসের মধ্যে সরানোর কথা থাকলেও গত দেড় বছরের অধিক সময়েও কারখানাটি সরানো হয়নি। বিকারীর মালিক বলছেন, কোথাও জায়গা পাচ্ছি না বলে সরাতে দেরি হচ্ছে। পরপর ৩ বার অভিযোগ করে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তর কারখানাটি মালিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। অভিযোগকারী ১৯০/এ বড়কালিবাড়ির বাসিন্দা কার্তিক পাল জানান, অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছেন।
তিনি জানান, ০৮ নভেম্বর ২০২১ সালে রাজিব বেকারীর মালিক নয়ন চন্দ্র পাল ও নান্টু চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে বেকারীর ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, চোখে জ্বালাগোড়াসহ পরিবেশ দুষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রেক্ষিতে
৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিহির লাল সরকার উভয় পক্ষকে ডেকে এনে শুনানী করেন। শুনানী শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং দুষণ নিয়ন্ত্রণে চিমনী স্থাপন করে আগামী ৩ মাসের পরিবেশ সম্মত স্থানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশ অমান্য করলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্ত রহস্যজনক কারণে এই আদেশটি ৩মাস তো দুরণের কথা দেড় বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।
পরবর্তীতে একছর পর আবারো অভিযোগ করা হয়। এতেও কাজ হয়নি। সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল’২০২৩ তারিখ পুনরায় পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। তারপরও পরিবেশ অধিদপ্তর কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়নি।
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তাপস পাল বলেন, সর্বশেষ আমরা ২২-০৬-২০২৩ তাািরখ কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ না করলে পরবর্তীতে কি করনীয় সে বিষয়ে হেড অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেকারীর মালিক সজীব পাল বলেন, ভাড়া বাড়িতে কারখানাটি। সুবিধামত জায়গা পাচ্ছি না বিধায় কারখানাটি সরাতে পারছিনা। চেষ্টা করছি। ##