You must need to login..!
Description
উবায়দুল হক,বিএমটিভি নিউজঃ
জীব-বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি অগভীর সাগর হচ্ছে । ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই সাগর পৃথিবীর বৃহৎ ৬৪টি সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের মধ্যে অন্যতম। তিন বছরের গবেষণায় করা সেই তালিকা অনুযায়ী ৪৭৩ প্রজাতির মাছ রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এ উপসাগরে।আর প্রথমবারের মতো এই বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ সীমানায় মাছের প্রজাতির তালিকা করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা।
এ গবেষণায় সহায়তা করেন চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য গবেষকরা।বিএফআরআই সূত্রে জানা যায়, দেশে মিঠাপানির ২৬১ প্রজাতির মাছের প্রজাতি থাকলেও বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সীমানায় ইতোপূর্বে সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতির শ্রেণিবিন্যাস ও তথ্যায়ন পূর্ণাঙ্গ ছিল না। সর্বপ্রথম ১৯৬৯ সালে দেশে প্রথম বাংলাদেশের সামুদ্রিক ও মোহনা অঞ্চলের ৪৭৪ প্রজাতির মাছের তালিকা প্রকাশিত হয়। কিন্তু সেই প্রকাশনায় তখন শুধু নামের তালিকা দেওয়া হলেও ছিল না কোনো ছবি। ৫৪ বছর পর এবারই বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সীমানায় ছবিসহ ৪৭৩ প্রজাতির মাছের তালিকা করেছেন বিএফআরআইয়ের বিজ্ঞানীরা।
ইনস্টিটিউটটি বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ১১ প্রজাতির মাছের সন্ধান পেয়েছে। প্রজাতিগুলো হচ্ছে- টুইট্টাবলি হাঙর (Milk shark), হাতুরে হাঙর (Giant hammerhead), লেজ হাঙর (Threshar shark), টুইট্টা ঘাবড়ি (Molted eagle ray), লতা হাঙর (Slender bamboo shark), নিলাম্বরী (Giant travailly), ডোরা পরী (Green puffer), পিট্টলি (Bengal demoiselle), প্রজাপতি মাছ (Moorish idol), চিরুনী মাছ (Grooved razor fish) এবং পটকা (C. bengalensis)।
বিএফআরআই জানায়, ৪৭৩ প্রজাতির মাছের মধ্যে ২৭টি গণের অন্তর্ভুক্ত ১২০টি পরিবারের মাছ রয়েছে। এতে ৬টি গণের অন্তর্ভুক্ত ১৯টি পরিবারের ৯৫টি হাঙর ও রে প্রজাতি ও ১৯ গণের অন্তর্ভুক্ত ১০১ পরিবারের ৩৭৮টি প্রজাতি রয়েছে। ৪৭৩ প্রজাতির এসব মাছ নিয়ে ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছ’ শিরোনামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে ইনস্টিটিউটটি। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, প্রকাশিতব্য অ্যালবামটি বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও নীতি নির্ধারকদের সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি শনাক্তকরণ, সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, সমুদ্রের মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সমুদ্র সীমানায় মাছের প্রজাতির ধরণ, প্রাচুর্যতা ও বিচরণস্থল সম্পর্কে সম্যক ধারণা এই অ্যালবাম থেকে পাওয়া যাবে। যা সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।