You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যার মামলায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মোঃ শরিফুল ইসলাম শান্ত (৩৫)। তিনি উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া এলাকায় আনিসুর রহমানের ছেলে। গত রোববার রাতে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া এলাকা হতে শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্ত্রী মর্জিনা আক্তার তাছলিমা (৩০) নামে এক গর্ভবতী নারীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে একটি মামলা করেন নিহতের ভাই খলিলুর রহমান। যার মামলা নং-১, তারিখ: ০১/১০/২৩ইং। জিআর নং-১৮২, তারিখ: ০১/১০/২৩ইং। মামলায় নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম শান্ত, শাশুড়ি সাজেদা খাতুন (৪৫) ও ননদ সানজিদা (১৮)কে আসামি করা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিল স্বামী শান্ত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বাগুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে শান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত তাছলিমার ভাই খলিলুর রহমানের অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে শান্ত’র (৩৫) সাথে তার বোন পৌরশহরের ষোলহাসিয়া এলাকায় আঃ বারেকের মেয়ে তাছলিমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে মাহদি (৯) ও মাহিন (৩) নামে দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার বোনেকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাছলিমা ও তার স্বামী শান্ত’র মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে তাছলিমার স্বামী শান্ত, শাশুড়ি সাজেদা (৪৫) ও ননদ সানজিদা (১৮) গর্ভবতী তাছলিমাকে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্বজনরা তাছলিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করতে হয় তাছলিমাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে রোববার সকালে মৃত্যু বরণ করেন তাছলিমা। এ বিষয়ে নিহত তাছলিমার পরিবারের অভিযোগ স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বেদড়ক পিটুনিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ভাই খলিলুর রহমান আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা করেছি। ওরা আমার বোনটাকে মেরে ফেলেছে। আমি তার সুষ্ঠ বিচার চাই। গফরগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ হত্যা ঘটনায় বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। স্বামী শান্ত কে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।