You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেসের উল্টে যাওয়া ২টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বগির ভেতরে বা নিচে আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪ টায় উদ্ধার অভিযান শেষ হয় বলে জানান আখাউড়া রেলজংশনের লোকোসেড ইনচার্জ মো: মনির উদ্দিন। বগি দুটি সরিয়ে নেয়ার পর রেল চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়। রাত ১১টা থেকে রিলিফ ট্রেন উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এরআগে মালবাহী ট্রেনটি সরিয়ে নেয়া হয়। এদিকে নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি মরদেহ এখনো রয়েছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান সবুজ জানান- আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। দূর্ঘটনায় ১৭ জনই মারা গেছেন। তবে আহত অনেকে। শতাধিক হতে পারে।
সোমবার বিকেলে ভৈরব রেলস্টেশনের অদূরে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারসিন্ধুর গোধুলী ট্রেনটি ৩ নম্বর লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে উঠার সময় ৩ নম্বর লাইনে চলে আসে মালবাহী ট্রেন। মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন এগারসিন্ধুর ট্রেনের শেষ দুটি বগিতে উঠে পড়ে। যাত্রীবাহী ট্রেনের বগি দুটি উল্টে পড়ে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হচ্ছেন ভৈরবের আগানগরের রাধানগর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেল আফজাল হোসেন (২৩), রানীরবাজারের প্রবোধ শীলৈর ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল (৫০) ও ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ভারপাপাড়া মেরেঙ্গা গ্রামের জুনায়েদের স্ত্রী হোসনা আক্তার (১৪), কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে ইমারুল কবীর (২২), বাজিতপুর উপজেলার পিরোজপুর ডুয়াইগাও এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে আসির উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের চানপুরের গোপদীঘীর চান মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বরইছড়া এলাকার মৃত সুরত আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন সরকার, ঢাকার দক্ষিণখানের আবদুর রহমানের ছেলে এ কে এম জালাল উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গালপাড়ার রইছ উদ্দিন ছেলে সুজন মিয়া, সুজনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, ছেলে সজীব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদাির বোয়ালিয়া গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া ও মিঠামইন এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া।