You must need to login..!
Description
এনায়েতুর রহমান,ফুলবাড়ীয়া থেকেঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় শিমের ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। পাইকারিতে শিমের কেজি ৫৫-৬০ বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে চাষিরা বলছেন এবার উৎপাদন খরচ বেশি দামও একটু বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় ২ হাজার ১শত চল্লিশ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বাকতা, কালাদহ. এনায়েতপুর ও রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে শিম। শুরুতে প্রতি কেজি শিম ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে কৃষক। এক মাস আগে হঠাৎ করে দুই দিনের বৃষ্টির পানিতে কিছু শিম গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চাষিরা বলছেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। এরই মধ্যে আগাম শিম বাজারে উঠেছে। তাই দাম বেশি। ফুলবাড়ীয়ায় উৎপাদিত শিম স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের পাহাড় অনন্তপুর গ্রামের শিম চাষি আল আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের কোন কৃষি জমি নেই, আমি ও আমিরুল দুইজনে মিলে ১বছর ছয় মাসের জন্য ১ একর জমি ভাড়া নিয়েছি এক লক্ষ পনের হাজার টাকায় ‘আমার ক্ষেতের শিম গাছে ফলন এসেছে। এখনও বিক্রি শুরু করিনি। কয়েকদিনের মধ্যে বিক্রি করবো।’ খরচ হয়েছে ষাট হাজার টাকা। এবার রোগ বালাই কম, ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৭ লক্ষ টাকার শিম বিক্রি করবো।
বাক্তা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে সবজি চাষী সেলিম মিয়া বলেন, আমরা মূলত সবজিচাষী। সারা বছরই বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করে থাকি। এ বছর দেড় একর জমিতে শিম চাষ করেছি । গত বছরও করেছিলাম কিছু লাভ হয়েছে এবার বাজার ভালো যে পরিমানের শিম ধরছে যদি কোন রোগ বালাই না হয় তাহলে অনেক লাভ হবে বাজারও ভালো। শিম বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হয়না পাইকাররা ক্ষেত থেকেই নিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মাটি উর্বর। শিম চাষের উপযোগী হওয়ায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। শিম চাষে ভালো ফলনের জন্য আমরা সার্বিকভাবে পরামর্শ দিচ্ছি চাষিদের। এখন ফলন উঠতে শুরু করেছে।’ আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় কম খরচে বেশি শাকসবজি উৎপাদন সম্ভব।