You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহের উদ্যোগে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা ও জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণে টেকসই পরিবেশ গঠন ও সুরক্ষা বিষয়েও অধিবেশন পরিচালনা করা হয়।
অফিস প্রধান মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে অফিসের সম্মেলনকক্ষে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আওতায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) বাস্তবায়নের একটি অংশ। সরকারি সেবার মানোন্নয়নে, কম সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে এবং ভোগান্তি ছাড়া সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রদান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সেবাপ্রদানে এগিয়ে আসার মনোবৃত্তি তৈরি অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। সর্বোপরি জনবান্ধন ও সেবামুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা।
সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) দিলরুবা আহমেদ, ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মাহফুজুল আলম মাসুম এবং ময়মনসিংহ আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান।
প্রশিক্ষণের প্রথম সেশনে সরকারি দপ্তরে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। অনলাইনে সেবাগ্রহীতা জিআরএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে কীভাবে সহজেই সেবা পেতে পারে তার চিত্র উল্লেখ করা হয়। এ পদ্ধতিতে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রাপ্ত অভিযোগ কীভাবে নিষ্পত্তি করবে প্রশিক্ষণের মাঝে বিষয়টি ওঠে আসে। অনলাইন ও অফলাইনের অভিযোগ সমাধানের পন্থা নিয়েও আলোচনা করা হয় সেশনে।
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যার সম্পর্কে দ্বিতীয় সেশনে ব্যবহারিক পদ্ধতিতে শিখনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দপ্তরের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি সম্বন্ধে আলোকপাত করা হয়। গুরুত্বারোপ করা হয় প্রতিটি সরকারি দপ্তরে জিআরএস বাস্তবায়নের আবশ্যকতা।
পরবর্তী সেশনে শব্দদূষণের উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ, কেন গুরুত্ব দেয়া উচিত, কোন ধরনের প্রাণীর ক্ষেত্রে কত ডেসিবেল মাত্রার শব্দ স্বাভাবিক-এর ছক, শব্দ দূষণের উৎস, ক্ষতিকর দিক, শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) আইন-বিধিমালা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
উল্লেখ করা হয়, ভিন্ন মাত্রার পরিবেশ দূষণের মধ্যে অন্যতম ঘাতক হচ্ছে উচ্চমাত্রার শব্দ। বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে উচ্চমাত্রার শব্দ ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের সক্রিয় সৃজনশীলতা নষ্ট করে ফেলে। শব্দদূষণের কুফল ও এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সেশনে আরো জানা যায়, শুধু মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নয়, প্রাণিকূলের জন্যও শব্দদূষণ মারাত্মক ক্ষতিকর। শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিনিয়ত স্থলে ও জলে পড়ছে। শব্দদূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। শব্দের ডেসিবেল শ্রাব্যতার সীমায় থাকলে আমরা সুস্থ থাকবো।