You must need to login..!
Description
এনায়েতুর রহমান,ফুলবাড়ীয়া থেকে :
স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ে সন্তান নিয়ে খেয়ে, না খেয়ে দিন চলে আছমা আক্তারের। স্বামীর রেখে যাওয়া ছনের ঘরে বেড়ে উঠা বড় মেয়ে বিয়ের প্রাপ্ত বয়স। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের (শ্রমিক) কাজ করে সংসার চলছে তাদের। সবাই যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত তখন তাদের কান্না কেউ শুনেনি। শেষ পর্যন্ত ‘রঘুনাথপুর প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্ট’ অসহায় বিধবা মায়ের আর্তনাদ শুনে। তাদের মৌলিক চাহিদা (একটি বসতঘর) পূরণের উদ্যোগ নেয় এ কল্যাণ ট্রাস্ট। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর পিতাহারা দুই মেয়ে সন্তানের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন রঘুনাথপুর প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্মিত ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। বিধবা আছমা আক্তারের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন অধ্যক্ষ কাব্য সুমী সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি আবুল মুনসুর আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবী শাকিল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম সাইফ, রবিউল ইসলাম হিমেল প্রমুখ।
বিধবার হাতে ঘরের চাবি ও ৩০ কেজি ওজনের চাউলের একটি বস্তা হস্তান্তর করা হয়। থাকার ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আছমা আক্তার। তিনি বলেন, জীবনে কল্পনাও করি নাই যে, টিনের ঘরে থাকমু। আমার সংসারে কোন ছেলে সন্তান নাই বলে আমার আশাও ছিল না, ঘর পাবার। অনেক বড় বড় মাইনষে (মানুষে) আমারে ঘরটা কইরা দিল, আল্লাহ তাদের কে আরও বড় করুক। কত্ত বড় বড় মানুষ আইছে আমার ঘরের চাবি দিবার লেইগা। খুশিতে আমার কোন ভাষা নাই।