স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
দ্বিতীয় স্ত্রীর নিকট থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে ভন্ডপীর প্রলোভনে পড়ে প্রতারনার শিকার হয়েছে প্রথম স্ত্রী। ভন্ডপীর কারসাজির মাধ্যমে প্রথম স্ত্রীর সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে ঘা ঢাকা দেয় ।এঘটনায় অভিযুক্ত ভন্ডপীর মাছুম (৪৫)কে গত ২৮ মে  ঈশ্বরগঞ্জ থানার সোহাগী বাজার এলাকা হতে  গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। সে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার অরন্যপাশা গ্রামের মৃত জব্বর মুন্সীর ছেলে।

ডিবির ওসি ফারুক হোসেন জানান,  ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার কুমারুলী গ্রামের  মৃত আঃ জব্বার এর কন্যা  তাছলিমা খাতুন (৩০) এর  সিরাজগঞ্জ জেলার নিবাসী মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাথে ২০০৬ সালে পারিবারিক বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ ছেলের জন্ম হয়। তাছলিমা খাতুন (৩০) এর স্বামী ঢাকায় একটি গার্মেন্টেস চাকুরী করাকালে দ্বিতীয় বিবাহ করে মর্মে লোকমুখে শুনতে পেয়ে তাছলিমা খাতুন (৩০) মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে। পরে তাছলিমা খাতুন (৩০) বিষয়টি পরিবারসহ বিভিন্ন লোকজনের সাথে আলোচনাকালে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫) এর সাথে পরিচয় হয়। সে তাছলিমা খাতুনকে আশ্বাস প্রদান করে যে, তার স্বামীকে তার নিকট এনে দিতে পারবে এবং তার সাথে ঘর সংসার করবে। ভন্ডপীর মাছুম (৪৫) এর কথায় বিশ্বাস করে তাছলিমা খাতুন তার স্বামীকে ফেরত পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে পড়ে। এই সুযোগ ভন্ড কবিরাজ মাছুম জানায় তার নিকট বেশি স্বর্ণালংকার উপস্থাপন করতে পারলে তার স্বামীকে দ্রুত তার নিকট আনার ব্যবস্থা করতে পারবে। তাছলিমা খাতুন ভন্ডপীর মাছুম এর কথায় বিশ্বাস করে ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও একটি স্বর্ণের চেইন যার মোট  ওজন ১ভরি মোট বাজার মূল্য ৯০ হাজার  টাকা এবং নগদ এক লাখ টাকা দেয়। ভিকটিম তাছলিমা খাতুন এর নিকট থেকে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫)  এসব স্বর্নালংকার  এবং নগদ একলাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। এ ব্যাপারে  ময়মনসিংহ জেলা  পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুইয়ার নিকট অভিযোগ আসলে পুলিশ সুপারের  নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার-ইনচার্জ, মোঃ ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) রূপন কুমার সরকার সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে  ২৮মে ঈশ্বরগঞ্জ থানার সোহাগী বাজার এলাকা হতে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫)কে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করে। উক্ত ঘটনায় তাছলিমা খাতুন বাদী হয়ে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ঈশ্বরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৮/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪১৯/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।###

মতিউল আলম