You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার,ময়মনসিংহ
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুস সালাম বলেছেন, সবাইকে সম্মিলিতভাবে ময়মনসিংহের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ময়মনসিংহ সংসদ সদস্যরা অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে সমস্যাগুলো আছে তা নিয়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ময়মনসিংয়ের সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে সবাই সমন্বিত হয়ে এক যুগে কাজ করলে উন্নয়ন সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ময়মনসিংহ জেলার সম্মানিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ টাউন হলের এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মহিত-উর-রহমান, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম আনিসুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নিলুফার আনজুম পপি, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এখন সারাদেশ। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে। আর সেটা ছিল সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তৈরি করা হয়েছে কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত একটি স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তৈরি করা। তার সেই স্বপ্ন পূরণে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট ও উন্নত দেশ। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০১৫ সালে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত হতে পারব বলে আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি। ২০০৮-০৯ সালে আমাদের অর্থনৈতিক মান ছিল ৬০ এখন ২০২৩এ এর অবস্থান এসে দাঁড়ায় ৩৩ এ। বৈশ্বিক নানা মুখি চ্যালেঞ্জ এর মধ্যেও ২০২১ সালে জিডিপি হার ছিল ৬.৯৪ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৭.১০ এ রূপান্তরিত হয়। ২০০৮-০৯ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫৯ মার্কিন ডলার এবং তা ২০২২-২৩ সালে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় ২,৭৮৪ মার্কিন ডলারে। সরকারি বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ২০২২ সালে জিডিপি ৩২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে
দারিদ্রতার হার ছিল ৭০ শতাংশ এবং পঞ্চাশ শতাংশ ছিল অতি দারিদ্র সীমারের নিচে। ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭% এবং অতি দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস মাত্র ৫.৬% শতাংশ মানুষের । ২০১৬-১৭ সালে কর্মসংস্থান ছিল ছয়কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের। এখন ২০২২ সালে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে সাত কোটি ৪৭ লক্ষ মানুষের। ২০১০ সালে নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল ৩৬ শতাংশ বর্তমানে ২০২২ সালে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ৪২.৭৭ শতাংশ।
মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহে বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ভবন এবং জনবল নিয়োগ বৃদ্ধি করা, ময়মনসিংহের যানজট নিরসনে ট্রাফিক সিস্টেম পরিবর্তন করা, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সজ্জা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় করা, আনন্দমোহন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা, রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামো উন্নয়ন কিভাবে করা যায় তা আলোচনায় তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার মেয়রবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ , ময়মনসিংহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে দপ্তর প্রধানগণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ।###
মতিউল আলম