স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ সেতুর টোল ইজারার কার্যাদেশ পরবর্তী চুক্তিসহ সব ধরনের কার্যক্রমে দুই সপ্তাহের স্থিতি অবস্থা জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ১০দিনের মধ্যে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে উক্ত আদেশ বিবাদীদের ওপর জারি করে রুলের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো: মোজাম্মেল হোসেন এবং রিটকারি মেসার্স সৌরভ ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারি মো: মাহাবুবুল হক। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ নম্বর আদালতের মাননীয় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও মাননীয় বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহ এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বেত বেঞ্চ এই আদেশ জারি করেন।
রিটকারির আইনজীবী মো: মোজাম্মেল হোসেন জানান, মেসার্স মোস্তফা কামালের পক্ষে গত ২৪ জুন শম্ভুগঞ্জ সেতুর ইজারার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, অথচ তাদের চেয়ে পিটিশনকারি মেসার্স সৌরভ ব্রিকসের স্বাত্ত্বাধিকারি মো: মাহাবুবুল হক এক কোটি এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেশি ইজারা মূল্য দিয়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাদের সিডিউল জমা দিতে বাঁধা দিয়ে তা ছিনিয়ে নেয়। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, দেশে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় সর্বত্রই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই অবস্থায় সরকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কম দরদাতাকে শম্ভুগঞ্জ সেতুর টোল ইজারার কার্যাদেশ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিজ্ঞ আদালতের এই আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পিটিশনকারি মেসার্স সৌরভ ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারি মো: মাহাবুবুল হক। তিনি বলেন, আমরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশে খুশি। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
ঠিকাদাররা আরও জানায়, টানা ১৪ বছর ধরে একটি প্রভাশালী সিন্ডিকেটের কব্জায় চলছে প্রায় শতকোটি টাকার ইজারা আদায়ের শম্ভুগঞ্জ সেতু। চলতি অর্থবছরে আবারও ওই সিন্ডিকেট সরকারের বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কম মূল্যে সেতুটি ইজারা নিতে নিকু (নেগোসিয়েশন) ক্যারিশমা খেলে নিজেরা পকেট ভারি করছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ নভেম্বর প্রথম দফায় এই সেতুর ইজারা দরপত্র আহবান করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৯ মে সর্বশেষ সপ্তম দফায় দরপত্র আহবান করা হয়। এতে ১৫ জন ঠিকাদার সিডিউল ক্রয় করলেও কেউ শেষ পর্যন্ত সিডিউল জমা দেয়নি। এদের মধ্যে মেসার্স সৌরভ ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারি মো: মাহাবুবুল হক ছাড়া সবার সাথেই মেসার্স মোস্তফা কামালের সমঝোতা ও নেগোসিয়েশন হওয়ায় কেউ টেন্ডার ড্রপ করেনি। কিন্তু মাহাবুবুল হকের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় তিনি টেন্ডার ড্রপ করতে গেলে তাকে বাধাঁ দিয়ে সিডিউল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় দেশের র্শীষ সারির সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও বিষয়টি আমলে না নিয়ে গত ২৪ জুন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কম দরদাতা মেসার্স মোস্তফা কামালের পক্ষে কার্যাদেশ প্রদান করেন। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগীরা।###
মতিউল আলম