You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও সম্ভাবনা নিয়ে দু’দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা এসিস্ট্যান্ট হাই কমিশন গোয়াহাটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আমিনুল হক শামীম।
সভায় বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে ময়মনসিংহ-১ হালুয়াঘাট আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক সায়েম বলেছেন, ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাটে দুটি স্থল বন্দর বন্ধ থাকায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ী-ঘর বন্ধক রেখে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। একই সাথে এসব ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তারা হয়রানীর মধ্যে রয়েছেন। উভয় দেশ এসব সমস্যা সমাধান করলে অর্থনৈতিকভাবে দুই দেশ লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাইকমিশনের ট্রেড এন্ড প্রটোকল অফিসার, বাংলাদেশ এসিস্ট্যান্ট হাই কমিশন গোয়াহাটি আজহারুল আলম। এছাড়াও ভারতের তোরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইনসিন মারাক, জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি ইকরামুল হক নবীন, শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক কানু চন্দ্র চন্দ, নেত্রকোনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি অধ্যাপক রঞ্জিত কুমার সাহা, ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের দলনেতা এম এ রশীদ আলী, ধানুয়া কামালপুর আমদানী রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি আব্দুল মোকরেছ খোকন, কড়ইতলী আমদানী রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি সুরুজ মিয়া, মহেন্দ্রগঞ্জ আমদানী রপ্তানীকারক সমিতির সভাপতি ফারুক আহমেদ, মানকাসার আমদানী রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজিম আহমেদ, গারো হিলস বর্ডার ট্রেড এন্ড চেম্বার অব কমার্স সভাপতি আক্কি সাংমা, সহকারি কাস্টস কর্মকর্তা নীতেশ চন্দ্র ভোমিক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, ওয়ালটনের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল লতিফ, ভারতীয় ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীসহ দুই দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় নাকুগাও, গোবড়াকুরা, কড়ইতলী, মহেন্দ্রগঞ্জ, ধানোয়া-কামালপুর, মেঘালয়, তোরা, আসাম ও গোহাটিসহ দুইদেশের বেশকিছু স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ আলোচনা করেন। বক্তারা এ অঞ্চলের বন্দর দিয়ে পাথর কয়লা ছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি-রপ্তানী করার সম্ভাবনা ও সম্প্রসারণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন। এছাড়াও দুই দেশের মালামাল আমদানি-রপ্তানী ট্যাক্স প্রদান ও কাস্টমস কার্যক্রমসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো সহজতর করার ব্যাপারেও অলোচনা হয়। ##
মতিউল আলম