ফুলবাড়ীয়ার আনারসের বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে হাসি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা

image

You must need to login..!

Description

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া থেকে,

লাল মাটির এলাকা বলে খ্যাত এই জনপদের নামকরন হয়
রাঙ্গামাটিয়া ।গ্রামের পর গ্রাম রসালো পাকা আনারসের মৌ মৌ ঘ্রান বাতাসে ছড়াচ্ছে । গ্রামে ঢুকতেই রাস্তার পাশে পাকা আনারসের স্তুপ আর স্তুপ দেখা যায়। জয়না মার্কেট এলাকায় এসে দেখা যায় দিনাজপুর থেকে পাইকার এসেছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা থেকে আনারস কিনতে। সবুজ মার্কেট এলাকায় ভিড়িয়েছেন ট্রাক, এদিকে সবে মাত্র ঘোড়ার গাড়ী বোঝাই করে আক্কাছ আলী তার ক্ষেত থেকে বিক্রির জন্য আনারস এনেছেন সবুজ মার্কেট এলাকায়। দরদাম ভালো পাওয়ায় খুব বেশি মুলামুলি করতে হয়নি পাইকারের সাথে। ৩৫ টাকা করে ৫’শ পিস আনারস বিক্রি করলেন তিনি। মুটো ভরা টাকা ঘুনতে ঘুনতে জানালেন ফল অত বড় না, মাঝারি সাইজের, গত বছর এই আনারস বেচ্চি ১৫ টেহা পিস। এই বছর ১লা বাজারেই ৩৫ টেহা পিস বেছলাম। আশাকরি এ বছর মোটামুটি ভালো লাভ হইবো।

স্বাদে গন্ধে মিষ্টতায় অতুলীয় হওয়ায় সারা দেশে কদর রয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার আনারসের। মৌসুমের শুরুতেই ভালো দাম পাওয়ায় খুশি ফুলবাড়ীয়ার আনারস চাষিরা। সেই সাথে আনারস মৌসুমে ভালো ব্যবসা করার আশা করছেন পাইকার ফরিয়ারা।

জানাযায়, উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া, সন্তোষপুর, হাতিলেইট, কৃষ্ণপুর গ্রামে ব্যপক চাষ হয় আনারস। মূলত জায়ানকিউ এবং হানিকুইন এই দুই জাতের আনারসের আবাদ বেশি হয় এই এলাকায়। জায়ানকিউ জাতের আনারস সাইজে বড়, এবং হানিকুইন সাইজে ছোট কড়া মিষ্টি যুক্ত।জায়ানকিউকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কেলেন্ডার আনারস আর হানিকুইনকে বলা জলডুগি আনারস। বর সাইজের একেকটি আনারস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ধরে।

কার্তিক মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত রোপন করা হয় আনারসের চারা, আষাঢ় শ্রাবনে পুরোদমে বিক্রি চলে আনারস। ফুলবাড়িয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এবছর আনারস আবাদ হয়েছে ৬’শ ৫০ হেক্টর জমিতে, যা থেকে বিক্রি দাড়াবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

স্থানীয় আনারস ব্যবসায়ী আন্তাজ আলী ও দিনাজপুর থেকে আসা রহিম মিয়া বলেন, ফুলবাড়ীয়ার আনারস খেতে খুবই সু স্বাধু এবং মিষ্টি হওয়ায় সারাদেশে এঅঞ্চলের আনারস বিক্রি ভালো হয়, এবছর দামও ভালো আমাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝে ব্যবসায় লোকসান গুনতে হয়।

আনারস চাষি মজনু মিয়া বলেন, আমি এবছর বিশ একর জমিতে আনারস আবাদ করেছি। গত বছরের চেয়ে এবার বাজার ভালো। এমন বাজার থাকলে আগামীতে বেশি আবাদ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নুর মোহাম্মদ বলেন, এখানের মাটি আনারস চাষে উপযোগী তাই ফলন ভালো হয়, সারাদেশে এ আনারসের চাহিদা রয়েছে। এবছর বাজার ভালো হওয়ায় কৃষকের খুশি দেখে আমাদের ও ভালো লাগছে। কৃষক যাতে আরও লাভবান হয়, ফলন ভালো হয় আমরা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলাটিতে আনারস হলুদ কলা চাষে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের।

মতিউল আলম

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার