এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি-প্রধানমন্ত্রী

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি  নিউজ ডেস্কঃ 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। অনেকগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে। আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি, এই সময় এ ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হবে, আর সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে। আজ সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সম্পূর্ণভাবে কোটা বাতিল করে দিয়েছিলাম। হাইকোর্টের রায়ে সেটা আবার যখন পুনর্বার নিয়ে আসা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আপিল করি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেয়। আবার সেই কোটা ফিরে আসে। কোটা আর থাকবে না, আমার জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটাই আবার কার্যকর হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বজনহারার বেদনা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমি জানি একজন আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না।
আমি আর রেহানা ১৫ই আগস্ট সব আপনজনকে হারিয়েছি। তারপরও স্বজন হারাবার বেদনা নিয়ে ফিরে এসেছিলাম বাংলাদেশে। যে বাংলাদেশে তখন আমার বাবার ঘাতকরা ক্ষমতায়। যুদ্ধাপরাধী, যারা আমাদের মা বোনকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে তুলে দিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে, লুটপাট করেছে। তারাই তখন ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ৬ বছর দেশে আসতে পারিনি। বিদেশে রিফিউজি হিসেবেই আমাদের থাকতে হয়েছে। আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও যারা ক্ষমতায় ছিল রিনিউ করতে দেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা যাদের হারিয়েছি, আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। যারা আপনজন হারিয়েছে তাদের প্রতি আমার সহমর্মিতা জানাই। আমি নিজে দেখেছি… কালকে একটা ছোট শিশুকে পর্যন্ত দেখলাম, এটা অত্যন্ত কষ্টকর। আমি জানি না অপরাধটা কী ছিল আমাদের। যে ইস্যুটা নেই, সেটা নিয়ে আন্দোলনে নামে।

তিনি বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা তো ভোগের বস্তু না। আমি আয়েশ আরাম করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি বাংলাদেশটাকে একটু উন্নত করতে এবং সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল। সে মর্যাদাকে কেন নষ্ট করা হলো, সেটা বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার