মহামান্য হাইকোর্ট, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ বাস্তবায়ন করছেন না তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ 

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষনা কাযক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ১৪ জন কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য কর্মচারীগণ মহামান্য হাইকোট বিভাগ, আপীল বিভাগ সর্বশেষ ১৫-১১-২০১৮ তারিখে রিভিউ রায় প্রদান করেন। দীর্ঘদিন রায়টি বাস্তবায়ন না করায় কোর্ট অফ কনটেম্পন্ট দায়ের করা হয়। আদেশে তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে ২ সপ্তাহের বেঁধে দেয়া হয়। তুলা উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন সময় কোর্টের কাছে সময় প্রার্থনা করেন। এদিকে কোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় পরপর তিনটি চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেন। সর্বশেষ আইন মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রায় বাস্তবায়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এখন প্রশ্ন তিনি কি হাইকোর্ট ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উর্ধে।

সংশ্লিষ্ট কাগজাদি থেকে দেখা যায়, তুলা উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়িত ও ৩০জুন/২০১৬ এ সমাপ্ত তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষনা কাযক্রম শক্তিশালীকরন প্রকল্পের জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য এবি এম রেজাউর রহমানসহ ১৪ (চৌদ্দ) জন কর্মচারী মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন নং ৮১৯৬/২০১৬ দায়ের করলে আদালত বিগত ১২-১২-২০১৬ তারিখ পিটিশনের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপীল (সিপিএল এ) নং ২২২৭/২০১৭ দায়ের করলে আদালত বিগত ২৩-০৮-২০১৭ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগের রায় সংশোধন পূর্বক আবেদনকারীগণকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। সরকার পক্ষ এই রায়ের বিরুদ্ধে সিভিল রিভিউ পিটিশন ২২৭/২০১৮ দায়ের করলে ১৫-১১-১৮ খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে আবেদন কারীগণকে মামলার রায়/আদেশ বাস্তবায়ন না করায় সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়, সচিব অর্থ মন্ত্রণালয় ও নির্বাহী পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে প্রতিপক্ষ করে কনটেম্পট ১৮৩/২০১৯ মামলা ও ৩৫৬/২০১৯ নং মামলা দায়ের করেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইন-১ অধিশাখার গত ২০-১০-২০২২ তারিখের ১২৫ সংখ্যক পত্রে সকল মামলা সপ্রিীম কোর্টেন আপীল বিভাগে চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে আইন ও াবচা্র বিভাগের মতামত গ্রহণ করে রায় বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে’ মর্মে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সর্বশেষ মন্রীপরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন মন্রনালয়ের মতামত, জনপ্রশাসনের মতামতের আলোকে কৃষি মন্রণালয় তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পত্র প্রেরণ করেন। এতগুলো মন্রণালয়ের নির্দেশনা, মহামান্য কোর্টের অর্ডারকে কোন ক্ষমতা বলে তুলা উন্নয়ন বোর্ড বারবার প্রত্যাখান করছে তা একটু খতিয়ে দেখা দরকার।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের গবেষনা কাযক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের একজন ভুক্তভোগী কর্মচারী জহুরুল হক জানান, ২০১৬ সালে জুন মাসের ৩০ তারিখ প্রকল্পের মেয়াদ শেষে হওয়ার কিছুদিন পূর্বে আমরা ১৪ কর্মচারী হাইকোর্টে ডিভিশনে রীট দায়ের করি। পরবতীতে হাইকোর্টের আপীল বিভাগ সর্বশেষ রিভিউএ আমাদের পক্ষে রায় বহাল থাকে। কৃষি মন্ত্রণালয়ে আমার কোর্টের রায়ের আলোকে চাকুরী রাজস্বখাতে আত্মীকরণ চেয়ে আবেদন করলে মন্ত্রণালয় তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তুলা উন্নয়ন গড়িমসি করলে আমরা কোর্ট অফ কনটেম্পট দায়ের করি। এখানে দু’সপ্তাহের সময় বেধে দেয়া হয়্। তুলা উন্নয়ন বোর্ড কোর্টকে জানায়, এটা প্রক্রিয়াধীন। সেই ২০১৯-২০২৪ পযন্ত আজও প্রক্রিয়াধীন। মানে অনেকটা স্পস্ট তিনি কোর্টকে পাত্তা দিচ্ছেন না। পরবতীতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখা (১)০৫ অক্টোবর’২০২০ ২৩৫নং পত্র, (২)২৪অক্টোবর ২০২১ ৩১৭নং পত্র,(৩)৪অক্টোবর ২০২২ এর পত্র, (৪)কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অধিশাখার ২৮ নভেম্বর’২০২২ ১৮৪নং পত্র, (৫) আইন ও বিচার বিভাগের ২৩ অক্টোবর’২০২২ ১২৫ নং পত্র দ্বারা স্থায়ীকরণ, (৬) আইন ও বিচার বিভাগের ২১নং পত্রের মতামত (৭)জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৪জুন’২০২৪ ইং ৮৫নং পত্র, (৮) কৃষি মন্ত্রণালয়ে গবেষনা অধিশাখা ২০জুন ২০২৪ ইং ২৪২নং পত্র। এই পযন্ত ৮টি চিঠির সংশ্রিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তুলা উন্নয়ন বোর্ডকে প্রেরণ করেছেন। কিন্তু নির্বাহী পরিচালকের হাত এতই শক্তিশালী। তিনি দেশের সর্বোচ্চ আদালত, আইন মন্ত্রণালয়ের অর্ডার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অর্ডার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্ডার কোনটাই তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। আমি দেশ ও জাতির কাছে প্রশ্ন রাখছি, একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী সর্বোচ্চ আদাতের রায়কে কিভাবে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখায়? তিনি কোন ক্ষমতার ছত্রছায়ায় দীর্ঘ ৬বছর ধরে কোর্টকে অবজ্ঞা করে আসছেন? আমি দ্রুত এ রায়ের বাস্তবায়ন চাই।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) কৃষিবিদ ড, মোঃ ফখরে আলম ইবনে তাবিব-এর সাথে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে বলেন, মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলি। পরে ০১৭১১২২৭০৫৪ নাম্বারে বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। ##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার