মতিউল আলম, ময়মনসিংহ ,
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার দুধনই গ্রামে ভিমরুলের কামড়ে দুধনই বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম এবং তাঁর ১ ছেলে ও ১ মেয়ের অকাল মৃত্যুতে পবিবারসহ এলাকার সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পবিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি মসজিদের ইমাম কাশেম ও তার ১ ছেলে ১ মেয়ের মৃত্যুতে স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪০) এবং ২ ছেলে ১ মেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের বুক ফাটা কান্না ও আহাজারি কোন ভাবেই থামছে না। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।আজ রোববার সকাল ৯টায় ধোবাউড়ার দুধনই ঈদগাহ মাঠে মাওলানা আবুল কাশেম এবং তাঁর ১ ছেলে ও ১ মেয়ের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরামের পাশাপাশি এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় জানাযায় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। এই অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না।
প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম জানান, ইমাম সাহেবের ৫ ছেলে-মেয়ের মধ্যে ভিমরুলের কামড়ে ইমাম কাশেম মেয়ে লাবিবা (৭) ছেলে সিফাতুল্লাহ (৪) মারা যায়। তার পরিবারে বেঁচে আছেন বড় ছেলে হেদায়েতুল্লাহ (২০) বড় মেয়ে হাবিবা আক্তার (১৭) ছেলে এহসান (১৩)।ভিমরুলের কামড়ে গত শনিবার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে প্রথমে পিতা এরপর মেয়ে এবং রাতে ছেলেটিও মারা যায়।
বড় ছেলে হেদায়েতুল্লাহ (২০) জানান, বাবা ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। বাবা এবং ভাই-বোনের মৃত্যুর শোক কিভাবে ভুলবো, জানিনা। এখন আমাদের সংসার কিভাবে চলবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ধোবাউড়া উপজেলার দুধনই বাজার দুপুরে মাওলানা আবুল কাশেম তার ছেলে সিফাত উল্লাহ ও মেয়ে লাবিবাকে নিয়ে বন্যার পানিতে নৌকায় করে ঘুরতে বের হন। এসময় একটি বাঁশ ঝাড়ের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা ভিমরুলের কামড়ে আহত হন। পরে নৌকা নিয়ে তীরে ভিড়লে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে লাবিবাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আবুল কাশেমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সবশেষে রাতে ছেলে সিফাত উল্লাহ (৪) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের লাশ বাড়িতে নিয়ে গেলে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী ভীড় জমায় কান্নার রুল পড়ে।
খবর পেয়ে ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন নিহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান, নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। ##