
You must need to login..!
Description
মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে দ্বিতীয় স্ত্রী রিমা আক্তারের (১৫) মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী পারভেজ মিয়া। এমন ঘটনা ঘটেছে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকালে । নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে উপস্থিত লোকজন ধাওয়া দিয়েও ধরতে পারেনি পারভেজ মিয়াকে। এদিকে রিমা আক্তারের পরিবার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলে রিমাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় পারভেজ মিয়া’র প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তার কে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রিমা আক্তার আচারগাঁও ইউনিয়নের কোনাডাংগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
রিমার পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে রিমা আক্তার কে অচেতন অবস্থায় নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার স্বামী পারভেজ মিয়া। হাসপাতালের কর্মব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পারভেজ মিয়া আচারগাঁও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আহমেদ হোসেনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়- রিমা আক্তার সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার মাঝে পারভেজ মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত তিন মাস আগে আদালতের মাধ্যমে এভিডেভিট করে বিয়ে করে। এদিকে রিমা আক্তার জানতো না তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী রয়েছে। বিষয়টি যখন জানাজানি হয় তখন দুজনের মধ্যে ব্যাপক ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রিমা আক্তার বায়না ধরে প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তার বড়ি থেকে না গেলে সেও বাড়িতে যাবে না।
নিহত রিমা আক্তারের মা মর্জিনা বেগম বলেন- আমার মেয়েকে কৌশলে পারভেজ বিয়ে করে। তারপর থেকে আর খোঁজখবর নেয়নি। সকালে মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমার মেয়ে কে তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলে হত্যা করেছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে । অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রথম স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।###