মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার ও ১২ জানুয়ারি রোববার পর পর দুই দিনে দুই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।১১ জানুয়ারি উপজেলার ২ নং মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চামটা গ্রামে ও ১২ জানুয়ারি ১৩ নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চারবেতাগৈর গ্রামে অস্ত্রের মুখে পরিবারকে বেধে রেখে দূধর্ষ দুইটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনা থানায় জানালে বা মামলা করলে গৃহকর্তাদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকী দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোমবার দুপুরে ডাকাতি হওয়া দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে চামটা গ্রামের মোশারফ হোসেন কামাল বলেন, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে নগদ টাকা,স্বর্ণ ও রূপার অলঙ্কারসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। পরে ট্রাকে জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যায়। অপরদিকে রবিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে নান্দাইল-ত্রিশাল আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মৃদুল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মৃদুল মিয়া জানান, ১০- ১২ জনের মুখ ঢাকা একটি ডাকাতদল কৌশলে বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মূখে তাকে হাত-পা বেধে বিছানার উপর উপুড় করে ফেলে রাখে। পাশে থাকা স্ত্রীসহ অন্যদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ঘরের বেশ কয়েকটি কক্ষে থাকা স্টিলের আলমারি-ওয়্যারড্রোব ভেঙ্গে নগদ টাকা,স্বর্ণালঙ্কার, ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল । ১৩ জানুয়ারি সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয় ডাকাতির ঘটনায় একটি টিম গঠন করেছেন। ইতিমধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং ডাকাতির মালামাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছেন। নান্দাইল মডেল থানায় অভিযোগ পত্র দাখিল করা হলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এফ আই আর ভূক্ত করা হয় নাই ।###