
You must need to login..!
Description
মতিউল আলম, ও এনায়েতুর রহমান
বিশ্বনন্দিত ইসলামি স্কলার, জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন মিথ্যা মানুষকে পাপের পথ দেখায় সত্য পূন্মের পথ দেখায়। আমাদের প্রিয় নবীজীকে একদল লোক পাগল বলতো, যাদুকর বলতো, গনক বলতো, লেজ কাটা, নিরবংশ বলে গালি দিতো। নবীজির মন খারাপ করে দেয়ার জন্য। তখন আল্লাহ তায়ালা বলতেন আপনি মন খারাপ করবেন না। হে নবী ধৈর্য ধারণ করুন। আপনাকে যারা বলে নিরবংশ বলে গালি দেয়, তারাই পিতৃহীন জারজ।
এযুগে আমাদেরকেও মৌলবাদী, এবং রাজাকার বলে গালি দেয়। রাজাকার গালিটা এখন এওয়ার্ড হয়ে গেছে। আজ রাজাকার বলার দিন শেষ । পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আল্লাহর পরিস্থিতি পাল্টিয়ে দিতে সময় লাগে না। আমরা ইসলামের কথা বলি, আমরা সত্য কথা বলি, কোরআনের কথা বলি, আমরা দেশের কথা বলি মা ও মাটির মানুষের কথা বলি, জনগণের কথা বলি, আমরা ধর্মের কথা বলি, সত্য ইসলাম প্রচার করি। আমাদেরকে বলা হয় মৌলবাদী।
তিনি আরো বলেন, আল্লাহ বলেন, আলেম হও, আলেমের ছাত্র হও, আলেমকে সাপোর্ট কর ও মহব্বত কর। আলেম বিরোধী হলে দুনিয়াও শেষ আখোরাতেও শেষ ।এদেশের আসল পরিচয় হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহ বলছেন ধৈর্য ধারণ করুন। ধৈর্যশীলদের সাথে আমি আছি। ধৈর্য ফলাফল দিবেন আল্লাহ। আমরা ১৬ বছর ধৈর্য ধারণ করেছি। জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছি। আজ আমরা ফল পেয়েছি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর মনসিংহের সার্কিট হাউজ ময়দানে বিশ্বনন্দিত ইসলামি স্কলার জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি তাফসির কোরআন মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এই তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে লাখ লাখ মানুষ যোগ দেন।
আজহারির তাফসির শুরুর আগে আমন্ত্রিত অতিথিরা বয়ান পেশ করেন। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আজহারিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া জামাযেতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, জেলা জামাযেতের আমীর আবদুল করিম, নায়েবে আমীর ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, ও আয়োজক কমিটি আল ইসলাম ট্রাস্ট এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
বেলা সোয়া ২টায় বয়ান শুরু করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আজকে এই মঞ্চে বিএনপির এমরান সালেহ প্রিন্স ভাই জেলা বিএনপির পুরো টিম নিয়ে এসেছেন। জামায়াতের মতিউর রহমান আকন্দ ভাই এসেছেন। বৈষম্যবিরোধীরাও এসেছে। এতে বোঝা যায় পুরো বাংলাদেশ আজকের এই মঞ্চে। এটা অনেক সুন্দর।
এর আগে, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে আমন্ত্রিত মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য দেন এটিএন বাংলার আলোচক শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের খতিব মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও কুমিল্লার মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।
উল্লেখ্য এর আগে মাহফিলকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে প্রচারণা করে আসছিল আয়োজক কমিটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মাহফিলের বিষয়টি মানুষ জানতে পরেন। কয়েকদিনের চেষ্টায় শুক্রবার বিকেলে মাহফিলের সবধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়। এদিন রাতে মানুষের ঢল নামে। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিতি আরও বাড়তে থাকে। এদিকে মাহফিলকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে। তারা মাহফিলের স্থানসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি রাখেন।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কামরুল হাসান মিলন বলেন, মিজানুর রহমান আজহারি তাফসির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষ আগ্রহ সহকারে পছন্দের বক্তার বয়ান শুনেন। তার বয়ানের মাধ্যমে ইসলামের পথে চলার আহ্বানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, মাহফিলকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা করেছিলাম। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে নজরদারি করেছে। কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই মাহফিল সমাপ্ত হয়।
জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল উপলক্ষে ময়মনসিংহ শহরে যানবাহন চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। শহরে রিকশা-অটোরিকশা চললেও তা অন্যান্য দিনের চেয়ে কম। বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিতির কারণে এমনটি করা হয়েছে। ফলে অনেকে পথ পায়ে হেঁটে বয়ান শুনতে আসেন।
মতিউল আলম