নান্দাইলে ঈদ ফেরত যাত্রীদের ভোগান্তি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

image

You must need to login..!

Description

মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ব্যস্ততম যানবাহন স্ট্যান্ড নান্দাইল চৌরাস্তা, কানুরামপুর বাজার, নান্দাইল জলসিড়ি বাসস্ট্যান্ড ও নান্দাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ঈদ ফেরত যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঈদ বকশিষের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। ঈদের ছুটি শেষ তাই কর্মস্থলে যেতে হবে নিশ্চিত এ কথা ভেবে আর কোন উপায় না পেয়েই অতিরিক্তি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যস্থানে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ঈদের পূর্ব ও ঈদ পরবর্তী সময়ে বারংবার অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না উপজেলা প্রশাসন। ফলে একটি অসাধু চক্র লাভবান হওয়ার আশায় যাত্রীদের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ৬ এপ্রিল রবিবার সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন স্পটে সরজমিনে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার নির্ধারিত ভাড়া ৬০ টাকা থাকলেও ঈদ বকশিষের নামে ১২০ টাকা নিচ্ছে । নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সিএনজি’ চালিত অটোরিক্সার ভাড়া ১২০ টাকা হলেও জনপ্রতি ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা আদায় করছে। এছাড়া নান্দাইল চৌরাস্তা হতে গাজীপুর সিএনজি রিক্সার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৫০০ টাকা যেখানে অন্য সময়ের ভাড়া মাত্র ২২০ টাকা। একইভাবে নান্দাইল চৌরাস্তা হতে ভৈরব সিএনজি রিক্সার ভাড়া হিসাবে ডাবল ভাড়া নিচ্ছে , বাস ভাড়া নিচ্ছে ১৬০ টাকার বিপরীতে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে কিশোরগঞ্জ সিএনজি ভাড়া নিচ্ছে ৩০ টাকা ভাড়া ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বাস ভাড়া নিচ্ছে ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকায়। এমকে সুপার, শালবন, শ্যামল ছায়া, জলসিড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে সিন্ডিকেট করে চলছে যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ত্রিশালে ৪০ টাকার বাস ভাড়া ১০০ টাকা, সিএনজির ৬০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। যেন দেখার কেউ নেই। শহিদ মিয়া নামে গাজীপুরের যাত্রী বলেন, প্রতিবছরই এরকম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। যেখানে ২০০ টাকা খরচ হয়, সেখানে ঈদ উপলক্ষ্যে ৬০০ টাকা শুধু ভাড়া বাবদ খরচ হচ্ছে। এছাড়া নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক যাত্রী জানান, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। এতো টাকা ভাড়া আমরা কিভাবে দিবো ? এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে কয়েকজন গাড়ী চালক জানান, বছরে মাত্র দুইটি ঈদে ঈদ বোনাস হিসাবে কয়েকটা টাকা বাড়তি নিচ্ছি। এরপরেও গন্তব্যস্থান থেকে খালি গাড়ী নিয়ে ফিরে আসতে হয়। এতে আমাদের পোষায় না। এ বিষয়ে নান্দাইল চৌরাস্তা বাস ও ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুর রহমান বলেন, যাত্রীদের দূর্ভোগের কথা শুনে ঈদের পূর্বে ও ঈদের পরেও বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি। তারপরেও বিষয়টি আবার দেখছি।###

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার