
You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পুকুরে ভাসছিলো শিশুর মরদেহ তড়িগড়ি করে দেয়া হয় মাটিচাপা। তবে, কোন অভিযোগ না থাকায় শিশুর মরদেহ মাটির নিচ থেকে তুলতে পারছে পুলিশ।
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ শিশুর মরদেহের মাটিচাপা অবস্থায় পেয়েও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের এমন নিরব ভূমিকায় ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের পানাটি গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে খেলা করছিল একদল শিশু। এ সময় পুকুরে এক শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে বড়দের জানায়। তবে এরই মাঝে ঘটনাটি টের পেয়ে পুকুর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে তড়িগড়ি দাফন ছাড়াই গোপনে মাটি চাপা দেয় এক নারী। এনিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনার খবরে গৌরীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরীফুল আলম তুষার জানান, স্থানীয় জোসনা খাতুন নামের এক বিধবা নারী অবৈধভাবে এই শিশু জন্ম দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এই ঘটনায় এলাকাবাসির পক্ষে আমি অভিযোগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ তা গ্রহন করছে না। আমি মনে করি এই হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া উচিত, তা নাহলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে, এমনকি সমাজে অবৈধ সম্পর্ক ভয়াবহ রুপ নিবে।
স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রতন মিয়া জানান, যে মহিলা এই সন্তানের জন্ম দিয়েছে, তার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১০ বছর আগে। এখন ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ঘটনার বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাটিচাপা অবস্থায় একটি শিশুর মরদেহ পেয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে অনেকে, অনেকভাবে কথা বলছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে শিশিুটি মাটি চাপা দিয়েছে। তবে, এখানে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা নেয়ার সুযোগ নেই, তাই থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।