স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই শিশু সন্তানসহ মাকে গলাকেটে হত্যাকাণ্ডের মুল রহস্য উন্মোচন হয়েছে। মূলহোতা মো. নজরুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নজরুল পুলিশকে দেয়া স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে বলেছেন, খাওয়া নিয়ে তার ভাবী নিহত ময়না আক্তার তার সাথে দুর্বব্যহার করতো এই রাগে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে তার ভাবী ময়নাকে হত্যা পরে দুই শিশুসন্তান মেয়ে রাইসা (৫) ও ছেলে নীরব (২) কে নির্মমভাবে হত্যা করে। রাত ১টার দিকে হত্যা করে সে বারান্দায় ঘুমিয়ে ভোরে উঠে রিক্সার গ্যারেজে গিয়ে রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশের কায্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ আবদুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে জেলা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। আসামি নজরুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার এলাকার সলতু মিয়ার ছেলে। নজরুল নিহত ময়না আক্তারের দেবর। হত্যার আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। নজরুলের রক্তমাখা লুঙ্গি, বটি দা, রক্ত বিছানার চাদর, ময়নার পুরাতন মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ আরো জানায় ছোট সময় রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম পিতা মাতা মারা যায়। তাপর কিছু বড় হয়ে ভবঘুরে জীবনযাপন করতো।
আসামি নজরুল ইসলাম এর আগেও জয়দেবপুর থানার একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে দুই বছর জেল খেটেছেন। এরপর তার বড় ভাই ও নিহত ময়না আক্তারের স্বামী রফিকুল ইসলাম একটি সমিতি থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ করে তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনে গত দুই মাস আগে নিজের ভাড়া বাসায় রেখেছিল। আর সেই ভাই রফিকুলের সর্বনাশ করে। এরপর গত ১৪ জুলাই ভোররাতে দুই শিশুসহ মাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যান। ঘটনার দিন রফিকুল ইসলাম ভালুকার স্থানীয় রাসেল স্পিনিং নাইট ডিউটি শেষে ১৪ জুলাই সকাল ১০ টায় ভালুকা ভাড়া বাসায় এসে দেখে বারান্দার গ্রিলে তালা লাগানো। অনেক ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেয়ে বাসার মালিক ও প্রতিবেশী নিয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখে জবাই করা স্ত্রী ও ২ শিশু সন্তানের রক্তমাখা মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে ভালুকা থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত ময়না আক্তারের বড় ভাই মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ##
মতিউল আলম