স্টাফ রিপোর্টার , বিএমটিভি নিউজঃ
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০২৪ সালে জীবনবাজি রেখে যদি আন্দোলন না হতো তাহলে যারা আজ কথা বলছেন তারা কোথায় থাকতেন? তাই রাজনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষা করে আমাদের কথা বলতে হবে। শনিবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আগামীর বাংলাদেশটা কেমন হবে? আমি বলব আরেকটা লড়াই হবে। এই লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়েও আমরা বিজয় লাভ করব। জামায়াত দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে। এই কথা বলার পর প্রথমবার পড়ে যান তিনি। এরপর ফের দাঁড়িয়ে কথা বলা শুরু করার পর আবার পড়ে যান। এরপর তিনি মঞ্চে বসে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, কোনো এমপি মন্ত্রী টাকা চালাচালি করবে না। চাঁদা আমরা নেবো না, দুর্নীতি আমরা করব না। আমি জামায়াতের আমীর হিসেবে কথা বলতে আসি নাই। বাংলাদেশের নির্দিষ্ট শ্রেণির মুক্তির জন্য এই লড়াই নয়। আমি কোনো অভিজাত শ্রেণির হয়ে কথা বলতে আসি নাই। আমি কথা বলছি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। ইনসাফের ভিত্তিতে একটা দেশ গড়ে তোলার জন্য, আগামী দিনে যে লড়াই হবে আল্লাহ যেনো সেই লড়াইয়ে একজন শহীদ হিসেবে গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, পল্টন-শাহবাগ-পিলখানা-২৪’র গণহত্যা যারা করেছে তাদের বিচার বাংলাদেশে দৃশ্যমান করতে হবে। এদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত পুরনো বন্দোবস্তে চলবে না। এতোগুলো মানুষ এমনি এমনি জীবন দেয় নাই। নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, জনগণের রক্ত ও ঘামে অর্জিত এই দেশে যারা দায়িত্বে থাকবে, তারা মালিক নয়, জনগণের সেবক হবে। জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই আদর্শেই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজ যারা ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের ওপর জুলুম করে, টেন্ডার, চাঁদা, দুর্নীতির ভাগ নেয়, প্লট-ফ্ল্যাট ভাগ করে নেয়– তারা জনগণের নয়, নিজেদের সেবায় ব্যস্ত। আমরা যদি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিই, তবে কারো প্লট কিংবা বাড়ি করে দেব না, বরং পাবলিক রিপোর্ট দেব। কে কী কাজ করল, কত টাকা খরচ হলো জনগণকে জানাব।
সাত দফা দাবিতে শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বিকাল পাঁচটার পর বক্তৃতা দিতে দাঁড়ান জামায়াত আমির।
এরপর আবার বক্তৃতা শুরু করার পর জামায়াত আমির হাত দিয়ে বুক চেপে ধরেন এবং তাকে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় অন্য নেতারা চারপাশ থেকে তাকে ধরে বসিয়ে দেন।