শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে নৃশংস হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি -শিক্ষার্থীদের

শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে নৃশংস হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি -শিক্ষার্থীদের

BMTV Desk No Comments

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোরে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন অনুষদটির শিক্ষার্থীরা।বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে নৃশংস হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, আসাদুজ্জামান সরকার স্যার বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ায় বিভিন্ন অনুষদকে জড়িয়ে যেই বিবৃতি দিয়েছেন, সেই ঘটনায় কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।’

এর আগে রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল- ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি’। বেলা ১১টায় একই মিলনায়তনে কম্বাইন্ড ডিগ্রি ইস্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শুরু হয়। একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং দুই অনুষদের সমন্বয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি, এই তিনটি ডিগ্রিই থাকবে। তবে শিক্ষার্থীরা তিন ডিগ্রি মেনে নেননি।ফলশ্রুতিতে দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আশানুরূপ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে একত্রে অবরুদ্ধ করে তালা লাগিয়ে দেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ হন। শিক্ষকদের প্রায় ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর দ্বিতীয়বারের মতো একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একপর্যায়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পর বহিরাগতদের একটি মিছিল লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কিছুটা কিছু হটে। বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।হামলা চলাকালে ক্যাম্পাসের শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে অবরুদ্ধ শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পেছনের দরজা দিয়ে নিরাপদে সরে যান। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বহিরাগতদের হামলায় এক নারী শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর কম্বাইন্ড ডিগ্রি দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ ক্যাম্পাসে শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন মিলনায়তন ও ভিসির ভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালান। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ক্যাম্পাসে এই হামলা ধাওয়া ও ভাঙচুরসহ তাণ্ডবের পর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। ##

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LATEST POSTS