স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজ
আমি জুলাই আন্দোলনে সংগঠিত গণহত্যার শিকার প্রত্যেকটি পরিবার, আহত ব্যক্তি, দেশবাসী এবং ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন।-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অশ্রুসজল চোখে এভাবেই ক্ষমা চাইলেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় তিনি আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন।মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে স্বজন হারানো পরিবারের আহাজারি ও আন্দোলনে সংগঠিত নৃশংসতা দেখে আমার রাজসাক্ষী হওয়ার সিদ্ধান্তটি যৌক্তিক ছিলো বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে মানুষ মেরেছে, আবার কতগুলো লাশ একত্রিত করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। এসব বীভৎসতা আমাকে ভীষণ ভাবে মর্মাহত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ একটি ট্রিকি চাকরি করে। পুলিশের বিরুদ্ধে সব সময়ই বিভিন্ন অভিযোগ আসে। কিন্তু আমার সাড়ে ৩৬ বছরের পুলিশে চাকরি করার সময় আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। আমি পুলিশের আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনের শেষ সময়ে এসে এত বড় গণহত্যার দায় আমি এড়াতে পারি না। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থী।’