মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের আবুল কালাম নামে এক মৎস্য চাষীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার নির্মম ঘটনা ঘটেছে। ২৫ অক্টোবর শনিবার সকালে ওই মৎস্য চাষীর ২২ শতক পুকুরের শিং মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখতে পায় আবুল কালামের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী।এ ঘটনায় মৎস্য চাষীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। মাছের খাদ্যের মালিকের পাওনা ১৩ লাখ টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে ? তা নিয়ে এখন দিশেহারা মৎস্য চাষী আবুল কালাম। আবুল কালাম অরণ্যপাশা গ্রামের মৃত সাদেক মিয়ার পুত্র। পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মরে ভেসে রয়েছে সব শিং মাছ। ছয় মাস পূর্বে আবুল কালামের নিজ পুকুরে শিং মাছের তিন লাখ রেণু ছেড়ে ছিলেন। যা বর্তমানে ২৫টি শিং মাছে এক কেজির সমান হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তা বিক্রি করার কথা ছিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু ২৪ অক্টোবর শুক্রবার দিবগত রাতে কে বা কারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করায় রাত থেকেই মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠতে থাকে। বর্তমানে পুকুরের সব মাছ মরে গেছে। মাছ ব্যবসার পাশাপাশি আবুল কালাম একজন ইলেক্ট্রনিক্সের মেকানিক হিসাবে কাজ করেন।
তবে কান্নাজড়িত কন্ঠে মৎস্য চাষী আবুল কালাম ও তাঁর মা মজলিসা খাতুন জানান, প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সোহাগ, স্যালন ও স্যালনের দুই ছেলে পাভেল ও পায়েলের সাথে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ পূর্বে একটি আইপিএস মেরামতের বিষয় নিয়ে তারা আবুল কালামকে মারধর সহ হুমকি প্রদান করে। তিনি আরও জানান, তাঁর সন্দেহ প্রতিবেশী গিয়াসের উদ্দিনের পরিবারের লোকজনই পুকুরে বিষ দিয়ে এ ক্ষতি সাধন করেছে।
এ বিষয়ে আবুল কালামের স্ত্রী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আটটার দিকে শ্বাশুড়িকে নিয়ে পুকুরের কাছে গিয়ে দেখতে পান মাছগুলো মরে ভেসে উঠছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক এ ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের আইনগত বিচার দাবী করেন।
স্যালনের মা জাহানারা ও স্যালন বলেন কালামের অভিযোগটি মিথ্যা। হাতে নাতে কাউকে না ধরে, সন্দেহজনক ভাবে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক না।
ঘটনার খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন এবং আবুল কালামকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানান। ###