শফিকুল ইসলাম ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রাজনীতিতে ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন এক সুপরিচিত, গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় নাম। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হিসেবে তিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূলের মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বগুণ, উন্নয়নভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা তাঁকে আজ ত্রিশালের মাটি ও মানুষের অবিচ্ছেদ্য নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সাম্প্রতিককালে বিএনপির কেন্দ্রীয় উচ্চপর্যায় থেকে ঘোষিত মনোনয়ন তালিকায় ত্রিশাল আসনে ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল যে নেতার নেতৃত্বে ত্রিশাল নতুন রাজনৈতিক গতিশীলতা পেয়েছে, তিনিই যেন দলীয় প্রার্থী হিসেবে সুযোগ পান। অবশেষে সেই প্রত্যাশাই পূরণ হলো।
২০০৩ সালে ত্রিশাল উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে ডা. লিটন স্থানীয় রাজনীতিকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন। কঠিন রাজনৈতিক প্রতিকূলতা, মামলা-হামলা ও দমননীতির মধ্যেও তিনি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ত্রিশাল বিএনপি এক সময়ের বিভক্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি দৃঢ় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় নেতাদের মতে, ডা. লিটন শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা ও আশার প্রতীক।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকাঃ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্বগুলোর একটি হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে তাঁর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও লবিংয়ের ফলেই বাস্তবায়িত হয় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়’। আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ত্রিশালের নয়, সমগ্র ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ত্রিশালের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ডা. লিটনের সম্পর্ক রাজনীতির সীমানা ছাড়িয়ে আত্মিক বন্ধনে রূপ নিয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে চিকিৎসাসেবা, সামাজিক সহায়তা ও জনকল্যাণমূলক কাজে তাঁর অংশগ্রহণ তাঁকে জনতার কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তিনি গ্রামগঞ্জে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখেন যা তাঁকে মাটির মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ডা. লিটন বলেন, ত্রিশালবাসীর সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এমপি না হয়েও আমি সবসময় তাদের পাশে থেকেছি। যদি ত্রিশালের জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, তবে এই উপজেলাকে আধুনিক ও মডেল ত্রিশালে পরিণত করতে চাই যা সারাদেশে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ত্রিশালের সাধারণ ভোটারদের মতে, ডা. লিটন একজন ত্যাগী, উন্নয়নমনস্ক ও সৎ রাজনীতিবিদ। অনেকেই বলেন, তিনি জনপ্রতিনিধি না হয়েও যে নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে মানুষের পাশে থেকেছেন, তা তাঁকে জনতার নেতা’র মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। স্থানীয় বিশ্লেষকদের ভাষায়, উন্নয়ন চিন্তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় ডা. লিটন অন্যদের তুলনায় সবসময় একধাপ এগিয়ে।
আসন্ন নির্বাচনে নতুন প্রত্যাশাঃ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর ত্রিশালজুড়ে উচ্ছ্বাস ও আশাবাদের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত বিশ্বাস করেন, তাঁর নেতৃত্বে ত্রিশাল সত্যিকার অর্থেই উন্নয়ন ও সুশাসনের নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে।
ত্রিশালের মানুষ আজ অপেক্ষায় তাঁদের ভালোবাসার এই মাটির মানুষ এবার কি তাঁদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবেন?
নাকি উন্নয়নের এই স্বপ্ন আবারও অপেক্ষায় থাকবে এ প্রশ্নের উত্তর দেবে আসন্ন নির্বাচন।