স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বাসে অগ্নিসংযোগ ও চালক নিহতের ঘটনায় আনোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেছে আনোয়ার হোসেনকে শনাক্ত করা হয়েছে।ফুটেজ দেখে ৮০ পার্সেন্ট নিশ্চিত হয়েছি- আনোয়ার হোসেনসহ আরো ২ জন অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর চারটার দিকে ফুলবাড়িয়া পৌরসভার চাঁদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, কিন্তু আনোয়ার হোসেন বাসে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করছেন না।’এদিকে আগুনে পুড়ে নিহত বাসচালক মো. জুলহাসের (৩০) ছোটবোন ময়না থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে মামলা করেছেন। এই মামলায় আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে। গত সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আলম এশিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আসে। রাত ২টা ৪৫ মিনিটে বাসটি তেল নেওয়ার জন্য পেট্রোল পাম্পের সামনে আসলে সব যাত্রীরা নেমে যায়। এসময় বাসটি এখানেই বন্ধ রাখা হয়। রাত বেশি হওয়ার কারণে ভোরে নামবেন এমন চিন্তা করে একই উপজেলার চর রাধাকানাই গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা রুমকি ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদশা বাসের ভেতরেই থেকে যান। বাসের ভেতরে সিটে ঘুমিয়ে পড়েন চালক জুলহাস। এসময় তিনজন দুর্বৃত্ত এসে বাসে আগুন দিয়ে তাৎক্ষণিক চলে যায়। আগুন জ্বলতে থাকা অবস্থায় শহিদুল ইসলাম বাদশা বের হতে পারলেও তার মা শারমিন সুলতানা রুমকি আহত অবস্থায় বের হন। এসময় ভেতরে থাকা জুলহাস অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।বাসে আগুন দেওয়ার ওই ঘটনা ইসলাম ফিলিং স্টেশনের বিপরীত দিকে একটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের শোরুমের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত ৩টা ১৩ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আলম এশিয়া পরিবহনের বাসের সামনে যান দুজন ব্যক্তি। একজনের মাথায় ছিল টুপি, অন্যজনের মুখ ও মাথা কাপড় দিয়ে বাঁধা। এর ৩১ সেকেন্ড পর পেছন দিক থেকে আসেন আরও এক ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে ছিল একটি বোতল। ওই বোতলের তরল দাহ্য পদার্থ বাসটির সামনে ও ভেতরে চালকের আসনে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে বাসের সামনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একটি লাঠিতে আগুন ধরিয়ে সেটি বাসের ভেতরেও দেওয়া হয়। পরে দ্রুত ওই তিনজন চলে যান।
নিহত চালক জুলহাসের বাড়িতে শোকে পরিবারের লোকজন পাথর হয়ে গেছে । তারা ঘটনায় জড়িতের অবিলম্বে গ্রেফতার করে সুবিচার দাবী করেছেন। ##
মতিউল আলম