কলকাতা সংবাদদাতা
মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে রায়ে কারচুপি করা হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই রায়। সংবাদ সংস্থাকে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। এই রায়কে ‘কারচুপিপূর্ণ’, ‘পূর্বনির্ধারিত’ এবং ‘গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেটবিহীন একটি অনির্বাচিত সরকারের ফসল’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, একটি উপযুক্ত ট্রাইব্যুনালে আমি অভিযুক্তদের মুখোমুখি হতে ভয় পাই না, যেখানে প্রমাণগুলো ন্যায্যভাবে যাচাই করা হবে।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম, কিন্তু যা ঘটেছে তা নাগরিকদের উপর পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ে দু’টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অপর তিনটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
রায় প্রত্যাখ্যান করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশ্বের কোনও প্রকৃত সম্মানিত বা পেশাদার আইনবিদ বাংলাদেশের আইসিটিকে সমর্থন করবেন না। তিনি বলেন, আদালতকে ‘বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ এবং রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগকে ‘বাতিল’ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে’।
এদিকে, রায় ঘোষণার আগে এক অডিও বার্তায় হাসিনা বলেছেন , “আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন। বিচার করুক। ওসব বিচারের আমি পরোয়া করি না। শুধু মানুষের জন্য কাজ করব।” বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন , “হামলা, মামলা দিয়ে আমার কণ্ঠ বন্ধ করতে পারবে না।” আগামী দিনে আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা।