নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম অফিসে বসে ঘুষ নেয়ার ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ফেসবুক আইডিতে ১৬ ও ১৭ নভেম্বর রোববার এবং সোমবার প্রকাশ হয়ে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, ফাইলের ভিতর থেকে ঘুষের টাকা সরিয়ে টেবিলের নীচে গণনা করে তার ড্রয়ারে রাখছে । উক্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী শফিক এক দশকের উপর নান্দাইল অফিসে কর্মরত থেকে নান্দাইল এলজিইডি অফিসে বিশেষ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ঘুষ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া উক্ত উপ সহকারী প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজে সিডিউল বহির্ভূত অনিয়ম ও দূর্নীতিমূলক কাজ হলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি সঠিক তদারকি করেন না বলে একাধিক অভিযোগ আছে । উপ সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের তত্বাবধানে থাকা অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সিডিউলে থাকা নির্ধারিত সময়ে শেষ না হলে অথবা কাজ করা না হলেও উক্ত প্রকৌশলী নিরব ভূমিকা পালন করেন । ফলে নান্দাইলের উন্নয়নমূলক কাজ সময় মত শেষ হচ্ছে না বলে জনশ্রুতি রয়েছে। উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে সুধীমহল মত পোষন করেন। নান্দাইলের উন্নয়নমূলক কাজ ও জনস্বার্থে উক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবী জানিয়েছেন বিজ্ঞ মহল। এব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের জন্য সোমবার নান্দাইল এলজিইডি অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে নান্দাইল উপজেলার ঠিকাদাররা ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় এলজিইডি অফিসের একটি কক্ষে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বানোয়াট ও মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ঠিকাদারদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাইফুল ইসলাম ও ওয়াসিম। ###