বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের পাশে প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার

বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের পাশে প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার

BMTV Desk No Comments

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ

সোমবার (২৪ নভেম্বর) ময়মনসিংহ প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার কর্তৃক ‘রিকোভারি এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (রেইজ)’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম অবহিতকরণ বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

‘প্রত্যাগত অভিবাসী, ফিরে এলেও পাশে আছি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় এ প্রোগ্রাম। করোনা পরবর্তী সময়ে বিদেশ-ফেরত কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সম্মানের সহিত বেঁচে থাকা, হয়রানির শিকার না হওয়া এবং একেবারে নিঃস্ব না হয়ে যাতে কোনো ব্যবসা বা পুঁজির মাধ্যমে দিনাতিপাত করতে পারে, সে উদ্যোগেই এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় জানানো হয়। যারা বৈধ পথে ও বৈধ উপায়ে প্রবাসে গিয়েছিলেন, দেশে ফিরে আসার পর সকল ধরনের সেবা বিনামূল্যে পাবেন প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার থেকে। যেমন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী লাউঞ্জ, ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে মাত্র ২০০টাকায় রাত্রিযাপন, প্রবাসে মৃত্যুবরণ করলে বিএমইটি’র কার্ডধারীর পরিবার পাবে এককালীন ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, প্রবাসীদের সন্তানের জন্য শিক্ষা সহায়তা ভাতা, আহত ও অসুস্থ হয়ে ফেরত আসা প্রবাসীদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, ফ্রী অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা এবং বীমা সুবিধা প্রদান ইত্যাদি। এছাড়াও পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, নগদ সহায়তা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বিউটি পার্লার, দর্জি কাজ শেখানো ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য তৈরিকরণ শেখানো হয়। বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হতে পারে প্রবাসী কল্যাণ সেন্টার।

সভাপতি বলেন, বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরে আসে তাদের অধিকাংশই বাড়িঘর করে, কেউবা স্বর্ণ ও অগুরুত্বপূর্ণ জিনিসে টাকা ফুরিয়ে ফেলে। কিন্তু এগুলো হচ্ছে দায়, এগুলোর কোনো রিটার্ন নেই। তাই আমাদের রিটার্ন আসে এরূপ ক্ষেত্র বাড়ানো জরুরি, ফিন্যানশিয়াল লিটারেসি জরুরি। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অতিক্রম করছে, এদেশে প্রচুর পরিমাণ যুব শক্তি বিদ্যমান। এ যুবশক্তিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে, উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। বিদেশে যারা যায়, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে পাঠাতে হবে। তবেই রেমিট্যান্স বাড়বে ও দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আর উদ্যোক্তাদের প্রতি সমাজের পারসেপশন (ধারণা) বদলাতে হবে, যাতে যুবকরা সহজেই উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রাণিত হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *