স্টাফ রিপোর্টার , বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যুবলীগ কর্মী মো: আল আমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় মামলার অভিযোগ পাশ কাটিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায় সরকারবিরোধী শ্লোগান দিয়ে যানবাহন ভাংচুর ও নাশকতামূলক কর্মকান্ড করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত মশাল, বাশের লাঠি ও ইটের টুকরা জব্দ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় আসামিদের দেওয়া তথ্যে গত ২৬ জুলাই যুবলীগ কর্মী আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরদিন গত ২৭ জুলাই ওই আসামিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে নির্দোষ দাবি করেছেন মা মোছা: আনারা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন- আল আমিন নির্দোষ, সে কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে থানায় ডেকে এনে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এনিয়ে উল্টো অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- আল আমিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী এবং পলাতক সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্তর ঘনিষ্ঠভাজন। বিগত ১৫ বছর সে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, জমি দখলসহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আল আমিন একটি বিস্ফোরক মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি। তবে আমি তাকে চেহারায় চিনতাম না। পরে সংশ্লিষ্ট সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, থানায় ডেকে আনার অভিযোগ মিথ্যা।
এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আকতার উল আলম বলেন, আসামি আল আমিন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়ায় একটি মামলার আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ নেই।