You must need to login..!
Description
এনায়েতুর রহমান,ময়মনসিংহ থেকেঃ বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআইয়ের) কমিউনিটি সেন্টারে তিনব্যাপী স্বাদু পানিতে মুক্তা চাষ শীর্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৫ জুন) বিকেল তিনটায় সনদ বিতরণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। অনুষ্ঠানে অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহসেনা বেগম তনু মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা(গবেষণা ও ব্যবস্থাপনা), মো: শহিদুল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মোহাম্মদ ফেরদৌস সিদ্দিকী, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণ ।
প্রশিক্ষণে মুক্তা বিজ্ঞানীরা বলেন, মুক্তা পৃথিবী খ্যাত একটি মূল্যবান রত্ন এবং আভিজাত্যের প্রতীক যা শুধুমাত্র জীবিত ঝিনুকের দেহে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন ধরণের মনোমুগ্ধকর অলংকার তৈরি করা ছাড়াও মুক্তার আরো অনেক ব্যবহার রয়েছে। মুক্তা চূর্ণ বিভিন্ন ঔষধের কাঁচামাল হিসেবে এবং প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া শৌখিন দ্রব্যাদি তৈরিসহ আরো অনেক কাজে মুক্তার ব্যবহার রয়েছে। মুক্তা চাষ প্রযুক্তি অনেকটা সূচ শিল্পীর মতো যা সহজেই আয়ত্ত করতে পারে এবং ঘরে বসেই সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয় করে নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌস সিদ্দিকী বলেন, জাপানে প্রথম স্বাদু পানিতে ঝিনুক থেকে মুক্তা উৎপাদন শুরু হয়। আমাদের দেশে দেরীতে হলেও কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে।
আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক পাওয়া যায়। তাপমাত্রাও ১০ মাস উষ্ণ থাকে, সে দিক থেকে মুক্তা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ইউরোপিয়ান দেশ, প্রাচ্যের দেশে মুক্তার ব্যবহার রয়েছে। শুধু অলঙ্কারে নয় চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহার হচ্ছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে, রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাশাপাশি মুক্তার উৎপাদনের পর আমরা ঝিনুকের খোলসকেও ব্যবহার করতে পারি। ঝিনুকের খোলসের চূর্ণ সিমেন্ট এবং চুন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আবার মুক্তা উৎপদনের পর যে খোলস থাকে তা দিয়ে অনেক সৌখিন জিনিস তৈরি করে আয় করা যায়।
নীলফামারী জেলার ডোমরা থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসা দীপক রায় বলেন, আমি উত্তরবঙ্গ পাল সিটি ফার্মে জুলফিকার রহমান বাবলার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩ শতাদিক ঝিনুক দিয়ে মুক্তা আহরনের কাজ শুরু করি। অধিকতর প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআইয়ে) তিনদিনের
প্রশিক্ষণ নিতে আসছি। পরে ২৫ জন প্রশিক্ষণাত্রীদের মাঝে সনদপত্র প্রদানকরেন।