You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র খুনের মামলায় মেয়র ও তাঁর দুই ভাই, বিএনপির এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। আসামির মধ্যে রয়েছেন বিএনপির এক নেতা ও তাঁর ছোট ভাই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরনার দুই পরিবারের পাঁচজনসহ উনিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
আসামিরা হলেন গৌরীপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম (৫৫), তাঁর ছোট ভাই গৌরীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রদল সভাপতি সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম (৪১), ছাত্রলীগ কর্মী সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল (৩৮), উপজেলা বিএনপির একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ময়লাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ (২৯), তাঁর ছোটভাই মাসুদ পারভেজ কার্জন (২৭), গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা (২৮), উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক (৩০), রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদের খালাতো ভাই খাইরুল ইসলাম (৩০), ছাত্রদলকর্মী রিফাত (২৫), ট্রাকচালক মো. আবু হানিফা (৩০), উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (২৮), যুবদলকর্মী মজিবুর রহমান (৩০), ছাত্রদল কর্মী শরীয়তউল্লাহ ওরফে সুমন (৩৩), যুবদলকর্মী রাসেল মিয়া (৩২)।
এরা সবাই এজাহারনামীয় আসামি। তদন্তকালীন সাক্ষ্য প্রমাণে আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কামাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতক রয়েছেন মো. মাইনউদ্দিন (২০), শরীফুল ইসলাম নাঈম (২২), রুহুল আমীন (২৮), শাহজাহান মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে উপরেল্লিখিত প্রথম তিনজন একই পরিবারের এবং তারা উচ্চ আদালতের জামিন রয়েছেন।
আজ সকালে ময়মনসিংহের আদালত পুলিশের পরিদর্শক প্রসূন কুমার সেনের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আদালত পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত আছেন। নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। আসামিদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপির নেতাকর্মী।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন ১৪ জন। এর বাইরের তদন্তকালীন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়ে আরও পাঁচজনকে নতুন আসামি করে অভিযোগপত্রে যুক্ত করা হয়। গত বছর ১৭ অক্টোবর শনিবার রাত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকার মরিচ মহলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান শুভ্রকে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্ত আসামিরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে ১৪ জনের নামোল্লেখ করে গৌরীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২২ অক্টোবর মামলার তদন্তভার পায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মামলাটি তদন্ত করেন গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘নিহতের সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ ও ক্ষোভ ছিল।