পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পৌণে ৪ কোটি টাকা

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে এবার রেকর্ড পরিমাণ অর্থ দান করা হয়েছে। শনিবার (১২ মার্চ) মসজিদের দান সিন্দুক খুলে পাওয়া গেছে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা। যা দান সিন্দুক থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ তিন কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার (১২ মার্চ) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলা হয়। মসজিদের ৮টি দান সিন্দুক খোলার পর রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত টাকা গণনা শেষে এই হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দান সিন্দুক খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ মাস ৬ দিন পর এসব দান সিন্দুক খোলা হয়েছে।   তবে এবার ৮টি দানসিন্দুকের মধ্যে ৬টি দান সিন্দুকই খোলার অন্তত ১৫দিন আগেই পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সেগুলোতে দান গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল।দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। গত ৬ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলার পর বড় বস্তায় ১২ বস্তা টাকা হয়েছিল। এবার বড় বস্তায় ১৫ বস্তা টাকা হয়েছে।

এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদ মাদরাসার ছাত্রশিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আনসার এবং জন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকারের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইকবাল হাসান, মো. মাহবুব হাসান ও সুশান্ত সিংহ, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, পাগলা মসজিদ সারা বাংলাদেশে একটি বিখ্যাত মসজিদ। এখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ নামাজ পড়তে আসেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এখানে দান করলে মনের বাসনা পূরণ হয়। সারা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে থেকেও লোকজন আসেন এবং তারা দান করে থাকেন।

আমাদের এখানে এখন স্থান সংকুলান হচ্ছে না, অনেক কষ্টের মধ্যে মুসল্লিরা নামাজ পড়ছেন। আমরা মসজিদ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স করবো। যেখানে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। নারীদের জন্যও থাকবে নামাজের ব্যবস্থা।

গত ৮ই মার্চ এ ব্যাপারে কনসালটিং ফার্মের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা এর ব্যয় ধরা হয়েছে। আমরা অচিরেই এর নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করবো।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার