You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ হারারেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৫ রানের রেকর্ড সংগ্রহ গড়ে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে থামে নুরুল হাসানরা। টি-টোয়েন্টিতে শেষ ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরাডুবির পর বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে চারদিকে। ওই সিরিজে দারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। জিম্বাবুয়ে সফর সামনে রেখে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক সিরিজের জন্য অধিনায়ক করে পাঠানো হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। তরুণদের ওপর ভর করে জিম্বাবুয়েতে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ^াসীই ছিল টাইগাররা।
এই ম্যাচের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ৭ ম্যাচে ৬টিতে জেতে বাংলাদেশ। গত বছর হারারেতেই জিম্বাবুয়ের ১৯৩ টপকে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। এবার উইকেটের ধরন বলছিল, ২০৫ রান তাড়া করেও জেতা অসম্ভব নয় এখানে।
৬ ওভারের পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ৬০ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। মুনিম শাহরিয়ারকে (৮ বলে ৪) হারিয়ে শুরুটা নড়বড়ে হলেও লিটন দাসের ব্যাট আশা জাগায় টাইগার শিবিরে। সেই লিটন সাজঘরে ফেরেন অদ্ভুত এক রান আউটে। সপ্তম ওভারে শন উইলিয়ামসের বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন লিটন। ফিল্ডার এনগারাভার হাত ফসকে বেরিয়ে যায় বল। ক্যাচ আউট থেকে বেঁচে যান লিটন। কিন্তু আউট হয়ে গেছেন ভেবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। ওই সুযোগে রানআউট করে দেন উইলিয়ামস। ১৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রানে থামে লিটনের ইনিংস।
তিনে নামা এনামুল হক বিজয়ের কাছে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা ছিল। দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থেকে সেট হয়েও বেশিদূর আগাতে পারেননি বিজয়। ২৭ বলে দুই ছক্কায় ২৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে ৩ চার ও এক ছক্কায় আসে ২৫ বলে ৩৭। দলীয় ১৪৬ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে যখন শান্ত আউট হন তখনও জয়ের জন্য ২৪ বলে ৬০ রান প্রয়োজন। ক্রিজে এসে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ঝড় তোলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৮ রান করতে হতো। তানাকা চিভাঙ্গার ওই ওভার থেকে সোহান ১০-এর বেশি তুলতে পারেননি। ২৬ বলে এক বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।
এর আগে ওয়েসলি মাধেভেরের ৬৭, সিকান্দার রাজার ৬৫ এবং শন উইলিয়ামসনের ৩৩ রানের সুবাদে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০ ওভারে ২০৫/৩-এ। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ৪ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ৫০ রান। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩ ওভারে ২১ রানে নেন এক উইকেট।