ফুলবাড়ীয়ায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন উদ্বোধন

image

You must need to login..!

Description

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া থেকে ঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহয্যে (যান্ত্রিক পদ্ধতিতে) জমিতে বোরো ধান রোপন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের নয়ানবাড়ী গ্রামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খামার বাড়ী যান্ত্রিককরণ মনিটরিং অফিসার রাখি রোকসানা।
বসতবাড়ি ও পুকুর খনন করায় কমছে আবাদি জমি। ফসলি জমি কমায় স্বল্প সময়ে একাধিক ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করছে কৃষক। ফসল উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নত জাত ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস। তাদের পরামর্শে স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারে ঝুঁকছেন চাষীরা। এক সময় চাষাবাদ হতো গরু ও মহিষ দিয়ে। এতে জমি প্রস্তুত থেকে রোপণ পর্যন্ত লাগতো দীর্ঘ সময়। আবার শ্রমিক সংকটে পড়তে হতো বিড়ম্বনায়। সময়ের ব্যবধানে এখন প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারে কৃষকদের সেই কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। এখন শ্রমিকদের অপেক্ষায় দিন গুণতে হয় না কৃষকদের। প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ফলে স্বল্প সময়ে জমি চাষাবাদ করা হচ্ছে।
বালিয়ান ইউনিয়নের নয়ানবাড়ী গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সময় জমি প্রস্তুত থেকে রোপণ পর্যন্ত লাগতো দীর্ঘ সময়। আবার শ্রমিক সংকটে পড়তে হতো বিড়ম্বনায়। সময়ের ব্যবধানে প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারে সেই কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। এখন শ্রমিকদের অপেক্ষায় দিন গুণতে হয় না আমাদের। প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহারের ফলে স্বল্প সময়ে জমি চাষাবাদ ও রোপন করা হচ্ছে। জমিতে কখন কী প্রয়োগ করতে হবে, রোগবালাই দমনে কী কীটনাশক দিতে হবে তার সার্বিক পরামর্শ কৃষি অফিস দেয়। এতে বাড়তি খরচ হয় না। আবার ফসলও ভালো হয়। ফলে লাভবান হচ্ছি।
উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের পাটুলী গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, আগে ধানের চারা রোপনের জন্য শ্রমিক লাগতো জনপ্রতি ৫শ টাকা দিতে হতো খরচ বেশি পড়তো। এখন ধানের চারা রোপনের মেশিন দিয়ে রোপন করা হচ্ছে। যন্ত্রের ফলে সময় এবং টাকা দুটোই কম লাগছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, অল্প জমিতে বেশি উৎপাদন করা যায় কীভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তা কৃষকদের প্রশিক্ষন করানো হচ্ছে। ফলে উন্নত জাতের ব্যবহার বাড়ছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে চাষাবাদে প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার হচ্ছে। জমির ব্যবহার হওয়ায় উৎপাদন যেমন বাড়ছে তেমনি খরচও কমছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একই পরিমাণ জমিতে বাড়তি ফসল উৎপাদন হচ্ছে। রফতানিকৃত ফসলের জন্য কম বালাইনাশক প্রয়োগে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে এর ব্যবহার বাড়বে।
এছাড়া বর্তমান সরকার কৃষিক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বৃহৎ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেখানে কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের যন্ত্রাংশ দিয়ে ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই কাজে ব্যবহৃত হবে। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষিঅফিসার কৃষিবিদ রকিব আল রানা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ হাসান আতিকুর রহমান, কৃষি প্রকৌশলী মুনমুন আহম্মেদ, মীর্জা রায়হানসহ সকল উপ-সহকারী কৃষি অফিসার। ##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার