নান্দাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কিন্ডারগার্টেনের প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ

নান্দাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কিন্ডারগার্টেনের প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ

BMTV Desk No Comments

মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কিন্ডারগার্টেনের প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে । উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বসে ব্যক্তিমালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রশ্নপত্র বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।
১ ডিসেম্বর সোমবার প্রশ্নপত্র বিক্রির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দোতলা ভবনটি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পূর্বদিকে অবস্থিত। ফেসবুকে ভিডিও প্রচারের পর ওই ভবনের নিচতলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর লোকজনের ভিড়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালকগণ এসেছেন প্রশ্নপত্র ক্রয় করার জন্য।
নাম ও পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক জানান, আগে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নপত্র নিজেরাই প্রণয়ন করে পরীক্ষা নিতেন। কিন্তু এবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একজন কর্মকর্তা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র কেনার নির্দেশ দেন। যে সব কিন্ডারগার্টেন প্রশ্নপত্র ক্রয় করবে না, তাদের নতুন বছরের বই দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।
ফলে ঝামেলা এড়াতে কিন্ডারগার্টেনের পরিচালকরা প্রতি সেট প্রশ্ন ১৫ টাকা করে ক্রয় করতে বাধ্য হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলা সদরসহ গ্রামাঞ্চলে ১৩৪টি ছোট-বড় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর কোনোটিতে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নিচতলার বারান্দায় বসে প্রশ্নপত্র বিক্রি করছিলেন নাজমুল নামের এক ব্যক্তি।
তিনি কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। প্রশ্নপত্র বিক্রি করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশ্নপত্রগুলো বিক্রি করার জন্য শিক্ষা অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।
কারা দিয়েছেন জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, কার্যালয়ে তখন শিক্ষা কর্মকর্তারা ছিলেন। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক রা চেয়েছেন বলে শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। এসব প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয় কি-না জানতে চাইলে তিনি না সূচক উত্তর দেন।

কিন্ডারগার্টেনগুলোতে সরকারি বই প্রাপ্তির সঙ্গে প্রশ্নপত্র ক্রয়ের বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানান তিনি।
নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউপিইও) মোছা. ফজিলাতুন্নেসা বলেন, এখানে তো প্রশ্ন বিক্রি করার কথা নয়। আমি তো বিষয়টি দেখিনি।
আপনি তো নিজ থেকে উপরে উঠলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখন আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) তার কার্যালয় থেকে নান্দাইল উপজেলার ১৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে বিতরণের সময় তিনি কার্যালয়ে ছিলেন না। স্কুল সংশ্লিষ্ট কাজে সকাল থেকে সারা দিন বাইরে ছিলেন বলে জানান।

তবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল জানান, আমার কাছে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা একটু জায়গা চেয়েছিলেন, আমি নিচতলায় বারান্দায় বসে বিক্রির অনুমতি দিয়েছি মাত্র।###

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *